কিশোরগঞ্জের টিউবওয়েলগুলোতে পানির অভাব
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রামের টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এতে করে এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষকে এখন নদীর পানি ফুটিয়ে পান করতে হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের চৌদন্ত গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন টিউবওয়েল আছে ১২টি ও সরকারি একটি, চৌদন্ত পূর্বহাটি গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৬টি ও সরকারি একটি, গাজিহাটি গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাঁচটি, কলমা ইউনিয়নের সাপান্ত গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৪৫টি ও সরকারি ছয়টি, কাকুরিয়া গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৪টি ও সরকারি দুইটি টিউবওয়েল রয়েছে। আশপাশের বাকি গ্রামগুলোতেও টিউবওয়েলের পরিমাণ প্রায় এমনই।
এরমধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন টিউবওয়েলের অধিকাংশই প্রায় অচল অবস্থা। সরকারি টিউবওয়েলগুলো মোটামুটি সচল থাকলেও তা বেশ দূরে দূরে। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহে মানুষকে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যেতে হচ্ছে। এজন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু সম্প্রতি টিউবওয়েলগুলোতে পানি ঠিকমতো না ওঠায় মানুষকে বাধ্য হয়ে তাই নদী ও পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করতে হচ্ছে।
উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের চৌদন্ত গ্রামের কৃষক মনীন্দ্র চন্দ্র দাস (৬২)বলেন, আমাদের এলাকায় প্রতি বছরের ফাল্গুন মাস থেকে জৈষ্ঠ্য পর্যন্ত টিউবওয়েলে পানির আকাল(অভাব) দেখা দেয়।
মোহনতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গীরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আটশ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু টিউবওয়েল মাত্র একটি। কিন্তু টিউবওয়েল চেপে পানি তুলতে ছাত্র-ছাত্রীদের খুব কষ্ট করতে হয়।
ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্রভা রানী দাস জানায়, এক গ্লাস পানি খেতে হলে অন্তত কয়েক মিনিট টিউবওয়েল চাপতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউল হোসেন উল্লাস বলেন, উপজেলায় সরকারি টিউবওয়েল আছে মোট এক হাজার ৮৪৯টি। শুনেছি এসব টিউবওয়েলগুলোর মধ্যে পুরাতনগুলোতে পানি কম বের হচ্ছে। তবে নতুনগুলোতে পানি আসছে।
তিনি বলেন, এই সময়টাতে পানির স্তর ভূগর্ভের বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। তবে আধুনিক প্রযুক্তিতে টিউবওয়েল স্থাপন করা হলে পানির সমস্যা থাকবে না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।