সাভারে পরিত্যক্ত গ্রেনেড বিস্ফোরণে দুই শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো এক শিশু। বৃহস্পতিবর বিকাল সাড়ে চারটায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বোমকা সংলগ্ন পাতারটেক এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই শিশুই স্থানীয় একটি মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের শিক্ষার্থী।

নিহতরা হলো- পাশ্ববর্তী মইস্তাপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (১০) একই গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমানের ছেলে শুভ (১০)।

আহত শিশুর বরাত দিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ বলেছে, শ্যামপুর জাহাঙ্গীর খান দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তিন শিশু খেলতে যায় সেনাবাহিনীর গ্রেনেড ফায়ারিং রেঞ্জ সংলগ্ন মাঠে। সেখানে অবিস্ফোরিত একটি গ্রেনেড পেয়ে তা নিয়ে খেলতে শুরু করে ওই তিন শিশু।পরে এক পর্যায়ে সেই নিয়ে তিন বন্ধু মিলে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে হটাৎ করেই বিকট শব্দে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে দুই শিশুই মারা যায়। এ সময় গুরুতর আাহত হয় সালমান।

নিহতের মধ্য শুভের ডান পা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কোমড়ে কাছে গভীর গর্ত হয়ে যায় আর বাম হাতের কনুই পর্যন্ত উড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। গুরুতর আহত অবস্থায় হৃদয়কে উদ্ধার করে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

ঘটনার পর এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। এসময় সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা ও সৈনিক ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসীর রোষের মুখে পড়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে কোনভাবে রক্ষা পান।

কারা কি উদ্দেশে লোকালয়ের পাশে গ্রেনেড রেখে গেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

তবে এলাকাবাসীর দাবী বিস্ফোরিত গ্রেনেডটি সেনাবাহিনীর। গত ২৬ মার্চ একই স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় গ্রেনেড দেখে আতংকিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।

যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব মিয়া দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। গ্রেনেডটি কি উদ্দেশে শিশুদের হাতের নাগালে রাখা হয়েছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

sahos24.com | Online newspaper