শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের ব্যাপক দুর্নীতির হালচাল
ঝিনাইদহের শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, এলাকায় অশান্তি ও মারামারি উস্কে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক নতুন নতুন অভিযোগ আসছে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
শৈলকুপার পূর্বমাদলা গ্রামের আজিম উদ্দিন মুন্সীর প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুল মতিন। তিনি তার স্ত্রী সখী খাতুন ও শ্বশুরালয়ের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির জন্য শৈলকুপা সেটেলমেন্ট অফিসে আসেন। কিন্তু উপসহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শেখ নওশের আলী প্রতিবন্ধী আব্দুল মতিনের শ্যালক খলিলুর রহমান ও স্ত্রী সখী খাতুন কে প্রাপ্ত সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে। এ ব্যাপারে আব্দুল মতিন সেটেলমেন্ট অফিসে এসে কারণ জানতে চাইলে তাকে অপমান করা সহ ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী মতিন উপসহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শেখ নওশের আলী ও লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে ভ’মি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে শৈলকুপার সোন্দাহ মৌজা ও নওপাড়া মৌজা, শিতালডাঙ্গা মৌজায় তাদের প্রাপ্ত সম্পদ দুই উপসহকারী সেটেরমেন্ট কর্মকর্তা, পেশকার গোলাম রসুল, নৈশপ্রহরী সাইদুর রহমান বাটুল মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে আপিল কেসগুলি নিয়ে। এছাড়াও কয়েকটি অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস যশোর। তদন্তে বলা হয়েছে একাধিক অভিযোগ উত্থাপিত সহ নানা কারণে অভিযুক্তদের এ জোন থেকে অন্য জোনে বদলী করা যেতে পারে। তবে এসব থোড়ায় কেয়ার করে উপ সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শেখ নওশের আলী বহাল তবিয়তে শৈলকুপা রয়েছে। কর্মচারীরাও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে নতুন করে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে শেখ নওশের আলী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, এলাকায় অশান্তি ও মারামারি উস্কে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপার হাবিবপুর গ্রামের কৃষক নেকবর হোসেনের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, হাবিবপুর গ্রামের মৌজা নং ১২৫, এসএ খতিয়ান ৩৪৮, এসএ দাগ ৬৮২, ১২ শতক জমি তাদের ভোগদখলে আছে। আরএস জরিপ সহ জমির রেকর্ড তাদের নিজ ভাতিজার নামে রয়েছে, মাঠ পরচাও তাদের অনুকূলে কিন্তু এ জমিতে আপত্তি কেস আসলে শুরু হয় নানা তালবাহানা। ন্যায় বিচার বঞ্চিত হবে আশংকায় কেসটি জোনাল সেটেরমেন্ট অফিস যশোরে বদলীর অনুমতি চাইলে উপ সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা শেখ নওশের আলী ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে। নেকবর হোসেন একজন কৃষক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও কর্মকর্তা নওশের সাফ জানিয়ে দেয় যশোর জোনালে আমাদের টাকা দেয়া লাগে। টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকেও টাকা নেয় নওশের আলী। কিন্তু পরে বিপক্ষ পার্টির কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে জমির রেকর্ড কেটে চান্দ আলীর নামে দেয়া হয়। এসব নিয়ে এলাকায় সহিংসতার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।