- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- মাগুরায় উৎপাদন হবে ২৭ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন গম
মাগুরায় উৎপাদন হবে ২৭ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন গম
মাগুরা জেলায় চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষে মাগুরা সদর উপজেলায় ২ হাজার ১৫০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ২ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, মোহাম্মদপুর উপজেলায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর ও শালিখা উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে।
এ আবাদ থেকে মাগুরা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৮০ মেট্রিক টন, শ্রীপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন, মোহাম্মদপুর উপজেলায় ৮ হাজার ২০১ মেট্রিক টন ও শালিখা উপজেলায় ২ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার গমের আবাদ কম হয়েছে। গত বছর জেলায় ১২ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়। অনুকূল পরিবেশ থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ২৩ হাজার ২২ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগ ১৬ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ নিয়ে জেলার ৪ উপজেলায় ৮ হাজার ২শ ২২ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। গত মৌসুমে ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কৃষকরা গম চষে ঝুঁকে পড়ে। ফলে গমের আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ১২ হাজার ৪০ হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার হেক্টর বেশী।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বারি ২৫ ও ২৬ জাতের গম মাঠ পর্যায়ে চাষ হচ্ছে। যা থেকে কৃষকরা হেক্টর প্রতি উৎপাদন পায় দেড় থেকে ২ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ গম গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বিরি -২৭ জাতের গম চাষ করতে পারলে উৎপাদন পাওয়া যাবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মেট্রিক টন। তাছাড়া এ গমের দানা মোটা দেখতে সুন্দর। তার ওপর গম উঠতে সময় লাগে মাত্র ১৩৫ দিন থেকে ১৪৫ দিন। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গম মৌসুম শেষ হবার আগেই শীত কমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গমের আশানুরূপ ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। অথচ বারি ২৭ জাতের গম শীত তাপমাত্রা সহনীয় হওয়ায় আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও কৃষি বিভাগের উদাসীনতা এ গমের আবাদ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ফলে অধিক লাভজনক হলেও কৃষকরা এ বিরি ২৭ জাতের গমের চাষ করতে সক্ষম হয়নি। তারা বাধ্য হয়েই শতাব্দী, প্রদীপ ও সৌরভ জাতের গম চাষ করছে। ইতোমধ্যে গম কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। বারি ২৭ জাতের গম উচ্চ ফলনশীল পরিবর্তিত আবহাওয়ায় চাষ যোগ্য এবং এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামে গত ২০১৩ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ গমের চাষ করা হয়। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা বা পরামর্শ পায়নি বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছে।দেশের স্বার্থে উদ্ভাবিত বারি-২৭ জাতের গম চাষে কৃষি বিভাগের উচিৎ কৃষকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি সকল প্রকার সহযোগিতা করা। তাহলে একদিকে গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে সাথে সাথে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।