- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- বরেন্দ্রভূমির রক্ষাগোলা গ্রাম-সমাজ সংগঠনের সভা
বরেন্দ্রভূমির রক্ষাগোলা গ্রাম-সমাজ সংগঠনের সভা
জাকির হোসেন পিংকু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রিন্টঅঅ-অ+
‘স্বনির্ভর স্থিতিশীল খাদ্য নিরপত্তাসহ জাতীয় উন্নয়নে অংশ নিতে বরেন্দ্রী জনজাতিসমূহকে সহায়তা করুন’- শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিকটবর্তী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠন’সমূহের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারী অর্গানাইজেশন (সি.সি.বি.ভি.ও) ও বিদেশী সংস্থা ব্রেড ফর দি ওয়ার্ল্ড, জার্মানী। অনুষ্ঠানে ২৬টি গ্রামের কয়েক হাজার আদিবাসী নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন বি.ডি.ই.আর.এম এর সাধারণ সম্পাদক বিভূতোষ রায় এবং গ্রাম সমাজ সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনসমূহের বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি সুবল খালকো।
সুবল খালকোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বি.ডি.ই.আর.এম’র সাধারণ সম্পাদক বিভূতোষ রায়, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লি: রাজশাহীর এস.ভি.পি আরিফুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসাইন, সমাজসেবা অধিদপ্তর রাজশাহীর প্রাক্তন উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, প্রিপ ট্রাস্ট রাজশাহীর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাঈদুজ্জামান সিপন, পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সি.সি.বি.ভি.ও রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার-ই-কামাল, প্রশাসনিক পরিচালক ও রক্ষাগোলা খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প সমন্বয়কারী এভারিস্ট হেম্রবম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানিক এক্কা। বক্তারা বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার ২৬টি গ্রামের আদিবাসী জনগণ সংগঠিত হয়ে খাদ্যে নিরাপত্তা অর্জনসহ (ফসল ওঠার মৌসুমে সকলেই নিজের ফসলের একটি অংশ সমিতির গোলায় বিপদের জন্য জমা রেখে খাদ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আদিবাসীরা)অপরাপর আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এগিয়ে চলেছেন। যেখানে দারিদ্রের দুষ্টচক্র মানুষের জীবন শেষ করে দেয় সেখানে তাঁরা এই সংগঠনের মাধ্যমে খাদ্য সংকট দূর করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন।
কিন্তু আদিবাসী জনগণের সাংবিধানিক অধিকার যতদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতী না পাচ্ছে ততদিন তাঁদের সার্বিক উন্নয়ন অপূণর্ই রয়ে যাবে। তাই সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও অধিকার অর্জনের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। নিজেদের অধিকার নিজেদেরকেই অর্জন করতে হবে। আর এজন্য দেশের মুক্তমনা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহব্বান জানান তারা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।