দোয়ারাবাজার উপজেলায় গম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। উপজেলার বাংলাবাজার, ভুগলা বাজার, সুরমা, নরসিংপুর, লক্ষ্মীপুর, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জমি গম চাষের উপযোগী। 

চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭৫হেক্টর জমিতে গম আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাবাজার ইউনিয়নে গম চাষের সম্ভাবনাময় এলাকা। এ ইউনিয়নে ২৮হেক্টর জমিতে এ বছর গম আবাদ হয়েছে। গত রুপা আমন মৌসুমে উৎপাদিত ধান চাষে লাভ না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা চলিত রবি শস্য মৌসুমে গম চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন।

কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শ ছাড়াই নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় জাতের গম বীজ ব্যবহার করে ভাল ফলন হওয়াতে সাফল্যের মুখ দেখেছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধান না থাকায় সরকারী বিভিন্ন সহায়তা, আধুনিক চাষাবাদ, উচ্চ ফলনশীল বীজ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা।

গম চাষ প্রসঙ্গে ভুগলা বাজার ইউনিয়নের আলমখালী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে গমের চাষ করেছেন। এ বছর চাষকৃত এক একর জমিতে গমের ফলন ভাল হয়েছে। আগামীতে সরকারী সুযোগ সুবিধা ও প্রশিক্ষণ পেলে আরো ভাল ফলন ফলানো সম্ভব হবে। 

বাংলা বাজার ইউনিয়নের বড়খাল গ্রামের ডাক্তার ইয়াকুব আলী জানান, এক বিঘা জমিতে গম চাষ করে মোটামোটি ভাল ফলন পেয়েছি। কৃষি বিভাগের সাহায্য পেলে আরো ভাল করা যাবে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, দোয়ারাবাজারের কয়েকটি ইউনিয়নের জমির মাঠি গম চাষে অত্যন্ত উপযোগী। এলাকাগুলোতে গম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের গম চাষে উৎসাহিত করার জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকরা মনোযোগী হলে রবি মৌসুমে অনাবাদি জমিগুলোতে গম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে। 

বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগম জানান, প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে গম উৎপাদন সম্ভব হবে।