- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- বিদ্যুতের অভাবে চালু করা যায়নি ১০১ গভীর নলকূপ
বিদ্যুতের অভাবে চালু করা যায়নি ১০১ গভীর নলকূপ
বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়ায় চালু করা যায়নি ঠাকুরগাঁওয়ের শতাধিক গভীর নলকূপ। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে চারা রোপণ আর ধান উত্পাদন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের অন্তত চার শতাধিক কৃষক।
জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এক বছর আগে ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচ উপজেলায় ১০৭টি গভীর নলকূপ বসানো হয়। প্রতিটি গভীর নলকূপ চালুর জন্য বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কৃষকের কাছ থেকে লক্ষাধিক করে টাকা জামানত আদায় করে। কিন্তু বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়ায় ১০৭টির মধ্যে ১০১টি নলকূপই চালু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি আর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গভীর নলকূপের আশায় বসেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু নলকূপ চালু না হওয়ায় এখন নতুন করে শ্যালো বসিয়ে চারা রোপণের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। তারপরও অনেক জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে।
সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ২৯ মাইল গ্রামের কৃষক মনতাজ আলী ও আবু হোসেন জানান, তাদের গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে প্রায় আট মাস আগে। গভীর নলকূপে আবাদের আশায় তারা শ্যালো বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন তাদের বেশ কয়েক বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। অপর কৃষক আব্দুর আজিজ জানান, এবার শ্যালো দিয়ে আবাদ করায় তার বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া দেরিতে আবাদ শুরু করায় এবার ফলনও কম হবে।
একই অবস্থা জেলার পীরগঞ্জ উপজেলাতেও। ওই উপজেলায় এখনো চালু হয়নি ১৮টি গভীর নলকূপ। ফলে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। পীরগঞ্জের কাস্তোমের নতুন গভীর নলকূপের জন্য জমি দানকারী সতীশ চন্দ্র রায় বলেন, কৃষকরা অল্প খরচে সেচ সুবিধা পাবে বলে নলকূপ স্থাপনে জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু বিদ্যুত্ সংযোগ না দেওয়াতে ওই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। একই এলাকার কৃষক শুভ রায়, পরিমল রায়, লক্ষ্মী চন্দ্র জানান, গভীর নলকূপ চালু হলে তাদের সেচ খরচ অনেক কমে যাবে। গভীর নলকূপের আওতায় এ এলাকার প্রায় ২৫০ বিঘা জমিতে আবাদ হবে বলে তারা জানান। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, একটি নলকূপ চালু না হওয়াতে সেখানে ১০টি শ্যালো দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে বিঘা প্রতি প্রায় হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুত্ জিএম খালেকুজ্জামান জানান, বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কোনো আবেদন আমাদের কাছে জমা নেই। যেগুলোর জন্য আবেদন এসেছিল সেগুলোর সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
তবে ঠাকুরগাঁও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুর রহমান পল্লী বিদ্যুত্ সমিতির দাবি অস্বীকার করে বলেন, গভীর নলকূপ বসানোর পরেই আমরা বিদ্যুত্ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়া ১০১টি গভীর নলকূপের আওতায় চার শতাধিক কৃষকের তিন হাজার হেক্টর আবাদি বোরো জমি রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।