- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- হুমায়ুন আজাদ হত্যামামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত
হুমায়ুন আজাদ হত্যামামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২৩ মার্চ, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান সাক্ষ্য প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবারও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। তার জেরা অব্যাহত থাকা অবস্থায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি করেন আদালত। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এ সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন তার জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে আংশিক জেরা করেন।
সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্তের পর তিনিই ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে মামলাটিতে ৩৩ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছে আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে জেলহাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয় জেএমবির সূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদকে।
মামলার আসামি জামায়াতে মুজাহিদিনন বাংলাদেশের (জেএমবি) সূরা সদস্য সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন, রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ ও নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রিজনভ্যান থেকে যে ৩ আসামি ছিনিয়ে নেয় জঙ্গীরা ওই ৩ জনের মধ্যে ২ জন হলেন সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ। এদের মধ্যে রাকিব ওইদিন রাতে ধরা পরে এবং পরে ক্রস ফায়ারে নিহত হয়।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একডেমির উল্টা দিকে ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন। এ হামলার পর তিনি ২২ দিন সিএমএস হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। ড. হুমায়ূন আজাদ জার্মানির মিউনিখে ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট (স্থানীয় তারিখ) মারা যান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।