জাতিসংঘ বলছে, গত গ্রীষ্ম মৌসুমে গাজা ভূখন্ডে যে সংখ্যায় বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাতে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলছে কি না তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ওপর প্রতিবেদন আজ জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে পেশ করা হবে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ নিয়ে আজ যে আলোচনা হবে তাতে তারা যোগ দেবে না।

জাতিসংঘের একাধিক রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে আজ জেনেভার এই বৈঠকে। এগুলোতে গাজায় গত বছর চালানো ইসরাইলের অভিযানে সময় যে ব্যাপক ধ্বংসলীলা এবং বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে তার উল্লেখ করা হয়।

গাজায় গত বছর জুলাই ও অগাস্ট মাসে ইসরাইলের ওই অভিযানে প্রায় দু হাজার লোক নিহত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

প্রতিবেদনে বিশেষ করে ফিলিস্তিনি শিশুদের অবস্থার ওপর আলোকপাত করে বলা হয় ইসরাইলি অভিযানের পর সেখানকার চার লক্ষ শিশু আতংকজনিত মানসিক বৈকল্যে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মানসিক সেবার দরকার। এতে অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোতে অব্যাহতভাবে ইসরাইলি বসতি নির্মাণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ।

ইসরায়েলের প্রতি গাজার ওপর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেবার আহ্বানও জানানো হয় রিপোর্টটিতে। অবশ্য ইসরাইল অবৈধ বসতি নির্মানের এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এখানে লক্ষ্য করার মতো ব্যাপার হলো, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মার্কিন প্রতিনিধি প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলতে রাজি হন নি, যা নজিরবিহীন। সাধারণত এসব রিপোর্ট বের হবার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষ সমর্থন করে থাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন ইসরাইলি প্রথানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার প্রাক-নির্বাচনী বক্তৃতায় যেসব কথা বলেছিলন - তাতে ওয়াংশিংটন যে ক্রুদ্ধ হয়েছে - এই নিরবতায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে

নেতানিয়াহু নির্বাচনের আগে আভাস দিয়েছিলেন যে তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সৃষ্টি হতে দেবেন না। মার্কিংন যুক্তরাষ্ট্র এই অনুপস্থিতির কোন ব্যাখ্যা দেয় নি, তবে সম্প্রতি ওয়াশিংটন আভাস দিয়েছিল যে তারা ইসরাইলের সাথে তাদের সম্পর্ক তাদের ভাষায় "পুনর্বিবেচনা" করছে।