প্রথম আলো বাউফল প্রতিনিধির জামিন নামঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২২ মার্চ, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার কথিত অভিযোগে ১৭ মার্চ রাতে আটক প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে রাতভর নির্যাতন করা হয়। পুলিশের অমানুষিক নির্যাতনে উঠে দাঁড়ানোর সামর্থ্য পর্যন্ত নেই মিজানের। তাই দু’জন তাঁকে ধরে নিয়ে আদালতে উঠতে সহায়তা করে। আদালতে আজ রবিবার তাঁর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
এর আগে আজ রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মিজানুর রহমানকে আদালতে নেওয়া হয়। প্রথম তাঁকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে কাউকে কথা বলা বা দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালীর দ্বিতীয় বিচারিক হাকিম ফাইজুর রহমান এজলাসে ওঠেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাজতখানা থেকে মিজানকে আদালতকক্ষে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি দাঁড়াতে ও হাঁটতে পারছিলেন না। পরে পুলিশের দুই সদস্য তাঁকে দুই পাশ থেকে ধরে আদালতকক্ষে নিয়ে আসেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে মিজানের ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পটুয়াখালীর সাংবাদিকেরা। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে করা সাজানো মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে। আজ সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বরিশাল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েক শ সাংবাদিক অংশ নেন। জেলার মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
কর্মসূচিতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি বলেন, মিজানুর রহমানের সঙ্গে পুলিশ যা করেছে, তা ন্যক্কারজনক। তাঁর ওপর চালানো নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সাজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়া অন্য বক্তারাও একই দাবি জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।