অর্থমন্ত্রী আবুল-মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সরকারের একার পক্ষে সার্বিক জাতীয় উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য রোটারীসহ সব মানবতাবাদী সংগঠনকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরা-ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি হল-১-এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মেলন কমিটির চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি চিং চ্যাং টাইগার কু, গর্ভনর সাফিনা রহমান, নির্বাচিত গর্ভনর এস এ এম শওকত, গভর্নর নমিনি মোহাম্মদ আইউব, সাবেক গভর্নর ইফতেখারুল আলম,মাগফুর উদ্দিন আহমেদ, মোস্তফা জামান আব্বাসী, হাফিজুল্লাহ,গোলাম মুস্তফা ও সম্মেলন কমিটির সচিব আতিকুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল-মাল আব্দুল মুহিত বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোটারী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও গ্রামীন জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রোটারী নেতৃস্থানীয় ভূমিকা প্রশংসনীয়। সেই সাথে তিনি রোটারী ক্লাবের উন্নয়ন ও ব্যাপক সাফল্য কামনা করেন।

গর্ভনর সাফিনা রহমান বলেন, পোলিও নির্মূলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোটারীর সাফল্য বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। আর্ত-মানবেতার সেবায় বাংলাদেশে রোটারী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আরো জোরদার করেছে। তিনি আরো বলেন, রোটারী হচেছ একটি পরিবার। আগামী দিনে কীর্তিময়, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা নিয়ে আমরা সমাজে বেঁচে থাকতে চাই।

রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি চিং চ্যাং টাইগার কু বলেন, রোটারী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রোটারীর কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সে জন্য আন্তর্জাতিক রোটারী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে অব্যাহত ভাবে সহযোগিতা প্রদান করে যাচেছ।

রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি হল-১-এর হল রুমে দু’দিনব্যাপী রোটারী সম্মেলনে সারাদেশ থেকে রোটারী প্রতিনিধিরা এসে যোগদান করেন। সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশ নিয়েছেন।

এ ছাড়া সম্মেলনে যে সকল রোটারী সদস্য ইতোমধ্যে মারা গেছে তাদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসায়ীক ও পেশাদার ক্লাব নিয়ে গড়ে ওঠা বিশ্বব্যাপী সেবামূলক একটি সংগঠন। প্রত্যেক ব্যক্তি ও পেশাদার ক্লাব থেকে একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র রোটারী ক্লাবের সদস্য হয়ে থাকেন। শিকাগোর মার্কিন অ্যাটর্নি পল পি হ্যারিস ১৯০৫ সালে এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের এভারস্টোনে-এর কেন্দ্রীয় দপ্তর রয়েছে। ঘৃর্ণায়মান পদ্বতিতে সদস্যদের কার্যালয় সভা অনুষ্টিত হয়। তাই এর নাম করণ রোটারী রাখা হয়েছে। শুরুতেই এটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েমন অব রোটারী ক্লাবস নামে পরিচিত ছিল। ১৯২২ সালে এর নামকরণ করা হয় রোটারী ইন্টারন্যাশনাল।