- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- রামগঞ্জ বাল্য বিবাহ ঠেকাতে পারলেন না প্রশাসন
রামগঞ্জ বাল্য বিবাহ ঠেকাতে পারলেন না প্রশাসন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুল আলমের নির্দেশ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতেহ পুর ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছুমাইয়া আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন করেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও মেম্বার ফারুখ হোসেন।
সূত্রে জানায়, উপজেলার জামাল পুর গ্রামের প্রবাসী আবুল কাশেমের মেয়ে ও ফতেহপুর ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছুমাইয়া আক্তারের বিবাহ বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার হতে বিবাহের আয়োজন দেখে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিক অবগত করার পর কোন বিবাহ বন্ধের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও মেম্বার ফারুখের স্বজন বিধায় বিবাহে দায়সারা বন্ধের আদেশ দেন প্রশাসন। বিবাহে অবাধ্য থাকায় ছুমাইয়া একাধিকবার মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়।
স্থানীয়রা ক্ষোভে বলেন, স্বজন প্রীতির মাধ্যমে রামগঞ্জ শিশু আইনের বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। বাল্য বিবাহে আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবারের কনের পিতা ও বরকে কারাদণ্ড, জরিমান করলে ও বিত্তবানদের পরিবার শিশু অধিকার আইন বিধি লঙ্ঘন বেশী করলে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম ছালেহ বলেন, মাদ্রাসার নিবন্ধনে ছুমাইয়া বয়স ১৪ বছর ২ মাস। সুমাইয়ার মামা বলেন আমি মানবাধিকার লোক হই। নবম শ্রেণিতে পড়লে ও ছুমাইয়ার বয়স ১৮ বছর হয়।
স্থানীয় মেম্বার ফারুখ জানায়, ছাত্রী আমার আত্মীয় স্বজন বিবাহ বন্ধ করাবেন না। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানায়, বর আমার স্বজন হলে ও মেয়েকে আমি নিবন্ধন দেয়নি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানায়, ইউএনও আদেশে বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আসছি। বিবাহ হলে সেখানে স্যার যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করলে ও তিনি রিসিভ করেনি। অপরদিকে নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও নোয়াগাঁও গ্রামের মাওলানা আরিফ উল্যাহ জিন্নাহ মেয়ে উম্মে ছালমার বিবাহ গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। আরিফ উল্যাহ জিন্নাহ্ বলেন, ইউএনও আমার আত্মীয় স্বজন, আমার বাড়ির পাশ্বে তার বাড়ি। চ্যালেঞ্জ করলাম তিনি আমার মেয়ের বিবাহ বন্ধ করবেনা।
ইউএনকে তাৎক্ষণিক ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) মো: গোফরান জানায়, স্যার বলছে বিবাহ হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চালিয়ে যাবো কিন্তু কিছুই হয়নি।
সাহস২৪.কম । অনলাইন সংবাদপত্র
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।