সাধারণত আমাদের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন সাধারণের চাইতে কমে গেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে বলে ধরা নিই। একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর জন্য রক্তে ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার, পুরুষের জন্য রক্তে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার, শিশুদের জন্য রক্তে ১১ থেকে ১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার হিমোগ্লোবিন থাকা স্বাভাবিক।

মূলত দেহে আয়রনের অভাব হলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর হৃদপিণ্ডের সমস্যা, নার্ভ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই সতর্ক হতে হবে সবাইকে। দেহে আয়রনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।

# গরুর কলিজা

মাত্র ১ টি স্লাইস গরুর কলিজাতে রয়েছে ৪ মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও গরুর কলিজা প্রোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি তে ভরপুর। এবং এতে রয়েছে মাত্র ১৩০ ক্যালরি।

# ডাল

ডাল একটি উদ্ভিজ্জ আয়রনের উৎস। মাত্র আধা কাপ ডালে রয়েছে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও ডালে রয়েছে ৮ মিলিগ্রাম ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক।

# চকলেট

অবিশ্বাস্য হলেও চকলেট আপনার শরীরে জন্য ভালো। ডার্ক চকলেটে রয়েছে ৩.৪ মিলিগ্রাম আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তসল্পতা দূর করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

# ছোলা/বুট

মাত্র আধা কাপ ছোলা/বুটে রয়েছে প্রায় ২.৫ মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও মাত্র ১৫০ ক্যালোরির চাইতেও কম এই খাবারটিতে রয়েছে ফোলাইট, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ৬ গ্রাম ফাইবার।

# টমেটোর জুস

ভরপুর আয়রন, লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস টমেটোর জুস রক্তসল্পতার পাশাপাশি আরো নানা সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে।

# আলু

প্রায় ৩ মিলিগ্রাম পরিমাণে আয়রন রয়েছে ১টি বড় আলুতে। এছাড়াও আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি এবং পটাশিয়াম।

# কাজুবাদাম

উদ্ভিজ্জ আয়রনের আরেকটি উৎস হচ্ছে কাজুবাদাম। মাত্র ১ আউন্স কাজুবাদামে রয়েছে ২ মিলিগ্রাম আয়রন। সুতরাং রক্তস্বল্পতায় ভুগলে সাধারণ স্ন্যাকস বাদ দিয়ে কাজুবাদাম খেয়ে নিন।