৭৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন
৭৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৫০ হাজার ১০০ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
এতে মূল এডিপি থেকে বরাদ্দ কমে যাচ্ছে ৮ হাজার ৩১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৮০ হাজার ৩১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মূল এডিপির সরকারি তহবিল থেকে কমছে ৫ হাজার ৫১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে কমছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে মঙ্গলবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব শফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
অগ্রগতি বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মূল সেতু নির্মাণসহ প্রধান কার্যক্রমগুলো ধরলে এখন পর্যন্ত সেতুর কাঙ্ক্ষিত বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানে যেভাবে কাজ এগিয়ে চলছে এতে করে আমরা আশাবাদী ২০১৮ সালের মধ্যেই এ সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। বর্তমানে আমাদের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অনুযায়ীই কাজ এগিয়ে চলছে। এ অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট।
হরতাল ও অবরোধের মধ্যেও চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৩২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সময় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থব্যয় হয়েছে ৩৩ শতাংশ, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩১ শতাংশ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় হয়েছে ২৫ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে মোট এডিপির বাস্তবায়ন হার ছিল ৩১ শতাংশ। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরে এক শতাংশ বাস্তবায়ন হার বেড়েছে।’
তিনি জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এসব তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো মোট ব্যয় করেছে ২৭ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৮ কোটি, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮ হাজার ৫০৯ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে (সিটি করপোরেশন পৌরসভা ইত্যাদি) এক হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, পরিবহন খাত হচ্ছে দেশের অন্যতম খাত। কেননা এর মাধ্যমে সার্বিক যোগাযোগ নিশ্চিত হয়। পণ্য চলাচল সচল থাকে। ফলে পণ্যের ব্যয় কমে যায়। এতে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয় অংশই লাভবান হয়। তাছাড়া শিক্ষা ও ধর্ম এবং বিদ্যুত খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট কেননা অর্থবছরের খুব বেশী সময় বাকি নেই। তাছাড়া টাকার অঙ্কে বরাদ্দ দিয়ে গুরুত্ব বিবেচনা করা যাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতিরিক্ত যে চাহিদা রয়েছে সে বিষয়ে এনইসিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে তিনি অতীতে বরাদ্দ বাড়িয়েও ছিলেন। তাই এবছরও আশা করা যায় কিছুটা বরাদ্দ বাড়াতে পারেন।
sahos24.com | Online newspaper
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।