নেশাখোর সন্ত্রাসী মিজার গংদের দখলে, চলছে ব্যাপক দাপটের সাথে মাদক ব্যাবসা ও ব্যাপক অবৈধ অর্থ বানিজ্য। 

বদরগঞ্জ বাজার, বোড়াই, আশাননগর, সাধুহাটি সহ এলাকাঘুরে সেখান কার জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার চিহ্নিত নেশাখোর সন্ত্রাসী প্রধান বোড়ায় গ্রামের মিজার চুয়াডাঙ্গার শরৎগঞ্জ হোয়াইট হাউসের মদু, এনায়েতপুরের আদম দালাল মুক্তার সহ এদের লোক জন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় সন্ত্রাসী, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও নেশার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এলাকার লোকজন, ছাত্র সমাজ এদের কাছে জিম্মি হয়েগেছে। 

জানা গেছে, প্রতিদিন মিজার ও মদু গং দর্শনায় যায় আর নেশাসামগ্রী আমদানি করে এলাকার বেকার যুবক সমাজকে নেশা ধরিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই মিজার ও মধু গং। আর এদের সাথে যোগ দিচ্ছে বদরগঞ্জ বাজার দশমাইল এলাকার সহজ সরল ছাত্র ও বেকার ছেলেরা। ভয়ে কথা বলতে পারেনা এলাকার সাধারণ অবিভাবক মহল। মিজার গংদের ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও দেখার বা বলার কেউ নেই। এদের নামে বার বার কেচ ও অভিযোগ হলেও গায়েবি ইশারায় সব কেচ অভিযোগ স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফিনিশ হয়ে যাচ্ছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিবর্গ বলেন, এদের নামে অভিযোগ বা কেচ করলে আরো বিপদে পড়তে হয়। এজন্যে ভয়ে কেউ অভিযোগ করতে বা মুখ খুলতে চায়না। 

তিনি আরো বলেন, মুক্তার এলাকার অনেক লোকের কাছ থেকে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছে। পরে ধূর্ত মুক্তার মিজান ও মদু গংদের সাথে যোগ দেয়। ফলে প্রতারণার শিকার এলাকার লোকজন মিজান, মদু গংদের ভয়ে মুক্তারকে কিছু বলতে পারেনা, টাকাও চাইতে পারেনা। প্রতারিত হচ্ছে অজপাড়া গায়ের সাধারণ জনগন। এলাকার জৈনিক ব্যাক্তি জানান মিজার গংদের টার্গেট থাকে সহজ সরল যুবক ও ছাত্র । যাতে সহজে তাদের বাবা মায়ের কাছ থেকে টাকা এনে নেশা করতে পারে। ছেলেরা বই খাতা কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এই মিজার গংদের সাথে মিশে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। 

এলাকার লোকজন ভয়ে কিছু বলতে পারেনা কারণ মিজান, মদু ,গং সরকার দলিয় লোক। ইতোমধ্যে মিজার, মুক্তার ও মদুর নামে বেশ কিছু মামলা ছিল এখন ও আছে। সরকারি দল করে ও সরকার দলিয় লোকজনের সাথে চলাফেরার কারণে সাধারণ লোকজন ভয়ে  কিছু বলতে পারেনা। জনগণ বলেন এদের দুর্নীতি দেখারও কেউ নেই, ব্যাবস্থা গ্রহণ করারও কেউনেই। 

এলাকার জনসাধারণের দাবি এখন একটাই এদের কে এলাকা ছাড়া করলে বা ক্রসফয়ারে দিলে এখানকার মানুষ শান্তিতে থাকবে। তিনারা আরো বলেন আমরা জানি শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ঝিনাইদহের ডিসি স্যারের ব্যাপক সুনাম আছে। ডিসি মহোদয় যেন এ ব্যাপারে এখনি জরুরি পদেক্ষপ নিয়ে এলাকার জনগণকে রক্ষা করেন।

ঝিনাইদহে পাগলা কানাইয়ের ২০৫তম জন্ম জয়ন্তী

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ 

‘জিন্দা দেহে মুরদা বসন, থাকতে কেন পরণা, মন তুমি মরার ভাব জান না, মরার আগে না মরিলে পরে কিছুই হবে না/ আমি মরে দেখেছি, মরার বসন পরেছি, কয়েকদিন বেঁচে আছি, তোরা দেখবি যদি আয় পাগলা কানাই বলতেছি।’ এমন শত শত গানের শ্রষ্টা মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৫তম জন্ম জয়ন্তী আজ। 

মরমী এ কবি ঝিনাইদহের বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন। আর ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় তিনি পরলোক গমন করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি দূরন্ত স্বভাবের ছিলেন। বাল্যকালে পিতৃহারা পাগলা কানাইয়ের ঘরে মন না টেকাতে অর্থের অভাবে পড়ালেখা হয়নি। তিনি মানুষের বাড়ি রাখালের কাজ করেছেন। গরু চরাতে গিয়ে ধুয়ো জারি গান গাইতেন। নিরক্ষর হলেও তার স্মৃতি ও মেধা ছিল প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গান রচনা করে নিজ কণ্ঠে পরিবেশন করতেন। তার মধ্যে বাউল ও কবিয়াল এ দু’য়ের যথার্থ মিলন ঘটেছে। পাগলা কানাইয়ের গান আজও গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

তার ২০৫তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ ৩ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অপর্ণ, মিলাদ মাহফিল, লাঠিখেলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও লোক সংগীত অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোক সংগীত ও নাটক। আগামি ১১ মার্চ শেষ দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, লোক সংগীত ও ভাব সংগীতের প্রতিযোগিতা। শেষ দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ আব্দুল হাই। বিশেষ অতিথি থাকবেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ।