সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগকে খারাপ খবরের জন্য গণমাধ্যমের শিরোনাম না হয়ে ভালো কাজ দিয়ে তাদের মন্দ দিকগুলো পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে যেন আর খারাপ খবরের শিরোনাম হতে না দেখি। ভালো কাজ দিয়ে মন্দ দিককে ঢাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিদ্বেষ-রেষারেষি বন্ধ করতে হবে।’

মন্ত্রী আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ’অমর একুশে’ উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রলীগ ৫২’র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশ মাতৃকার সকল সংকটপূর্ণ অবস্থা এবং জাতীয় ইস্যুগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কিন্তুু, তাদের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকান্ড যেন সেই গৌরবান্বিত অতীতকে বিপন্ন করতে বসেছে।

ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের কেউ অন্যায় করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডে কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মীদের সম্পৃক্ততা আদালতে উত্থাপিত হওয়ায় তাদের ফাঁসির রায় হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ সুবিচার নিশ্চিত করেছে। অপরাধ করলে সে যে দলেরই হোক না কেন, ছাড় পাবে না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম এম পি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের দেশে চলমান বিএনপি’র অবরোধ কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, তারা (বিএনপি জোট) আসলে রাজনীতির নামে অরাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে অবরুদ্ধ করে ফেলার মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। যারা দেশের কথা ভাবে না, তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস বা প্রলম্বিত করায় কোন কিছুই যায় আসে না।

একটি দল এবং তাদের সহযোগীরা বোমাবাজী করে, পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মাধ্যমে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন হারিয়ে যাবার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কেউ কেউ ঢাকায় বসে দিল্লীর কেজরিওয়াল হবার স্বপ্ন দেখেন, অথচ একটি কর্মসূচিতে ৫’শ লোকও জড়ো করতে পারেন না। তাদের আদৌও কোন জনসমর্থন নেই। তাই তারা ক্ষমতায় যাবার জন্য ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করেন। আসলে এদের জন্য করুণা হয়।