তাড়াশ ইউএনও'র বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অসৌজন্যতার অভিযোগ
মোঃ লুৎফুল কবির সোহাগ, সিরাজগঞ্জ
প্রিন্টঅঅ-অ+
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ইউএনও মোহাম্মদ জিল্লূর রহমান খানের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা ও অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের রূঢ় ব্যবহারে ব্যাথিত হয়ে প্রবীন সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও চলনবিল বাউল একাডেমির সভাপতি গাজী আলফাজ উদ্দিন কনক সাংস্কৃতিক সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন বরাবর মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে, এঘটনায় তাড়াশ প্রেসক্লাবের আহবায়ক জাকির হোসেন গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
অভিযোগ জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঐতিহাসিক নওগাঁ গ্রামের শাহসুফী জিন্দানী পীড়ের মাজার কেন্দ্রিক বৃহত্তর চলনবিল অঞ্চলের ক’শত বাউল সাধক, ফকির ও আধ্যাতিক জগতের মাস্তানদের নিয়ে গত ১২ বছর আগে চলনবিল বাউল একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি ফজল-এ-খোদা লিটন ও দৈনিক দিনকালের চলনবিল প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা গাজী কনকের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম স্বভাবিকভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু, বাউল সাধকরা গাঁজা সেবন করে এমন অপবাদ দিয়ে কতিপয় স্থানীয় দুর্বৃত্ত ও ভুমি দস্যু ২০১২ সালের ১২ মার্চ রাতে প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিসংযোগ করেন। শাহ সুফী মাজার কমিটির মোতায়াল্লি ফরিদার রহমান মন্টু, নওগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ খোন্দকার ও তাড়াশের সাবেক ইউএনও শরীফ রায়হান কবীরকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে প্রতিকার চেয়ে বাউল সাধকরা প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে পত্র পাঠান।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসকের সুপারিশ সম্বলিত একটি পত্র নিয়ে বাউল সাধক গাজী কনক মঙ্গলবার দুপুরে তাড়াশ ইউএনও অফিসে যান। ইউএনও ওই পত্রে সাবেক সহকর্মীর নাম দেখেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন। এরপর উপস্থিত লোকজনের সামনে উদ্ধতপূর্ন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাধক গাজী কনককে অফিস থেকে বের করে দেন। এরপর বিকেলে সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও তাড়াশ উপজেলা প্রেসকক্লাবের আহবায়কসহ সহ উর্ধ্বতন বরাবর মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তাড়াশ ইউএনও মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান খান অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার বলেন, নওগায় শাহসুফী জিন্দানি (রঃ) মাজারের পাশে ওয়াকফ জায়গায় ঘর তুলে গাঁজার আসর বসানোর দায়ে পূর্ববতী ইউএনও সেটি ভেঙ্গে দেন। আবারও সেখানে আসর বসানোর পাঁয়তারা করায় তাকে সাবধান করা হয়েছে মাত্র।
জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, বাউলদের জমায়েত নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যাই হোক বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে ভাল করে এটি খতিয়ে দেখতে হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।