কালিগঞ্জে দুর্ভোগে দলিল গ্রাহকরা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঁচ শতাধিক দলিল এবং প্রায় দেড়’শ বালাম বইতে সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর না থাকায় উপজেলাবাসী মূল দলিল ফেরত এবং জাবেদার নকল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশকৃত এবং শতাধিক দলিল গ্রাহক স্বাক্ষরকৃত একটি অভিযোগপত্র আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি কালিগঞ্জ ভূমি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে আ.ব.ম খায়রুজ্জামান যোগদান করেন। যোগদানের পর তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ফলে মাত্র ২ মাস ২১ দিন পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৭ এপ্রিল তাকে প্রত্যাহার করে সাতক্ষীরা জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু তিনি কার্যকালীন সময়ের পাঁচ শতাধিক দলিল এবং প্রায় দেড়শ বালাম বইতে স্বাক্ষর করেননি। যার কারণে প্রায় এক বছর গ্রাহকরা মূল দলিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমানে কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাব-রেজিস্ট্রার শাহাদাত হোসেন জানান, বকেয়া দলিলে সাব-রেজিস্ট্রার আ.ব.ম খায়রুজ্জামানের স্বাক্ষর না থাকলে মূল দলিল এবং জাবেদা নকল দেয়া সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে জেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে একাধিক বার লিখিতভাবে জানানো হলেও অদ্যবদি কোন প্রতিকার হয়নি।
এদিকে, সাব-রেজিস্ট্রার আ.ব.ম খায়রুজ্জামান প্রায় এক বছর তার কর্মস্থল জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাকে একাধিকবার কাজে যোগদানের জন্য লিখিতভাবে বলা হলেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় রয়েছে তা জানেন না জেলা রেজিস্ট্রার।
তবে এ ব্যাপারে জেলা সাব-রেজিস্ট্রার আ.ব.ম খায়রুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।