গণজাগরণ মঞ্চে ককটেল হামলা ও রাষ্ট্রের দায়
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অফিস শেষে যথারীতি শ্রদ্ধেয় রঞ্জন বকসী নুপুদা’র রিক্সায় উঠে পড়ি। উদ্দেশ্য শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ হয়ে বই মেলায় যাব বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে। কাল ছিলো গনজাগরণ মঞ্চের একজন সংগঠক রাজীব হায়দার প্রয়াণ দিবস। এদিনে শিবিরের ঘাতকরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আমি ও নুপুদা কয়েকদিন হলো পিরোজপুর থেকে এসেছি। আমরা গিয়েছিলাম নাজিরপুরের এক দুর্গম গ্রামে। গ্রামের নাম থেটার চর গত ১০ বছরে সেখান থেকে অত্যাচার নির্যাতনে ৩২টি পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এখনও যারা আছে তাদের জমি-জোত প্রভাবশালীদের দখলে। যাইহোক এও রিপোর্ট করার সময়কালে শাহবাগে আমি অনুপস্থিত ছিলাম। গতকাল কমরেড লিমন বড়ুয়ার ফোনে ইমরান এইচ সরকার অনুযোগের সুরে এসব কথা বলে জানালেন আলোর মিছিলের সংবাদ। দ্রুত যাওয়ার জন্যও বললেন। ওখানে গিয়ে অনেক বন্ধু স্বজনের সঙ্গে কথা হলো এরপর ইমরান এইচ সরকার যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন পর পর দুটো ককটেল ফুটলো আমার অদূরেই। একজন আহত হলেন তার জামা রক্তে ভিজে যাচ্ছিলো। মঞ্চের কর্মীরা তাকে নিয়ে ছুটলো হাসপাতালে। আমরা ছুটলাম ককটেলের দিকে। এরপরই বের হলো প্রতিবাদ মিছিল। টিএসসি হয়ে মিছিল আসলো। সভাপতির বক্তব্যে ড:আবুল বারাকাত নিন্দা জানালেন এই কাপুরুষোচিত হামলার। এরপর শুরু হলো আরে মিছিল। আমরা গাইলাম - ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি এখানে থেম না---গান শেষ হতে না হতেই আবার ককটেল হামলা।
প্রশ্ন হলো শাহবাগ থানা সংলগ্ন এখানে এমন হামলা কিভাবে হলো? এবং এঘটনার পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আসলেন না। তাহলে গণজাগরন মঞ্চের উপর রাষ্ট্রের কি কোন দায় নেই? আজ এ প্রশ্নটাই মননের গহীনে হানা দিচ্ছে। কারণ গণজারণমঞ্চে হামলার সাহস যারা করে তারা কি আমাদের চেয়ে বেশী সাহসী? আমি মনে করিনা। আমরা হেরে যেতে বা থেমে যেতে আসিনি। আমরা আছি-থাকবো আমৃত্যু।
সাংবাদিক, লেখক
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।