আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টায় রাজধানীসহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় গণমিছিল করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ।

বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তির পক্ষে ১৪ দলের এই গণমিছিল রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শুরু হবে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে গিয়ে তা শেষ হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আওয়মী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কর্মসূচির কথা জানান।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি, তথ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি সহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্র্যী তোফায়েল আহমেদ। সভা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ নাসিম।

সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে জামায়াতকে সাথে নিয়ে জেহাদ ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তান এ ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াতকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তা প্রকাশ পেয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী জঙ্গবাদী নাশকতায় শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্র নয় আমরাও উদ্বিগ্ন। তারা বিএনপি-জামায়াতে সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য উদ্বেগ জানিয়েছে।

মোহামদ নাসিম বলেন, দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য মোকাবেলা করতে কেন্দ্রীয় ১৪ দল একের পর এক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় রাজধানীসহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় ১৪ দলের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সাথে কোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে না।দেশের মাটিতে একাত্তরে ঘাতক এবং পঁচাত্তরের খুনীদের বিচার হবেই। সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বিএনপির আসল লক্ষ্য হলো জামায়াতকে রক্ষা করা।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, দানবের সাথে মানবের যেমন কোন সংলাপ হতে পারে না তেমনি বিএনপি-জামায়াতে সাথে গণতান্ত্রিক কোন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হতে পারে না।

তিনি বলেন, জঙ্গীবাদী নাশকতাকারীরা দানব। তারা মানবতার শত্রু। তাদের দমন করার পরই কেবল আলোচনা হতে পারে।