কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় বাল্য বিবাহ দেওয়ার দায়ে ভ্র্যাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ২ জনের জেল ও ৩ জনের জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার বাল্য বিবাহের সাথে জড়িতদের ধরে এনে নির্বাহী অফিসার তবিবুর রহমান নিজ কার্যালয়ে আদালত বসিয়ে তাদের জেল ও জরিমানা করেন।

জানা গেছে গত আগস্ট ১৪ তারিখে উপজেলার মাচাবান্দা নামাচর গ্রামের মোঃ নায়েব আলীর নাবালিকা কন্যা মোছাঃ পারভিন আক্তারের সাথে একই এলাকার মোঃ রিয়াজুল হকের নাবালক পুত্র মোঃ সবুজ মিঞার বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করেন স্থানীয় কাজী মোঃ রাগিব আহসান। গত বৃহস্পতিবার কলেমা পড়িয়ে তাদের বিবাহ মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়। 

সংবাদ পেয়ে রবিবার সকাল ১১ টায় চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট তবিবুর রহমান স্থানীয় থানার সহযোগিতায় ছেলে ও মেয়ের বাবা, মেয়ের মামাসহ স্থানীয় কাজীকে তার দপ্তরে ধরে আনেন। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার শেষে রায়ে, কাজী রাগিব হাসান, ছেলের বাবা রিয়াজুল হক ও গ্রাম্য মাতব্বর মোঃ জামিউল ইসলামকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। 

এছাড়াও মেয়ের বাবা মোঃ নায়েব আলী ও মামা হামিদুল ইসলামকে ১মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

রায়ে আরও বলা হয়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া জন্ম নিবন্ধন পত্রের সাথে শিক্ষাগত সনদ পত্রে উল্লেখিত জন্ম তারিখের কোন মিল না থাকায় থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।