লক্ষ্মীপুর জেলার  রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের কাউনিয়া আল-আমিন নুরানীয়া মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে কাউনিয়া মন্নানের স-মিল সংলগ্ন পোলের গোড়া এলাকার পরিত্যাক্ত বাড়ির পরিত্যাক্ত ঘরে একই গ্রামের নূর ইসলামের লম্পট ছেলে আলাল হোসেন (৩৫) জোরপূর্বক নিয়ে শ্লীতাহানি করে। এ সময় ছাত্রী চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে বখাটে আলালকে আটক করলে প্রভাবশালী কিছু লোক সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আলাল হোসেনকে ছাড়িয়ে নেয়। সৃষ্ট ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীর পিতা মোঃ মোস্তফা বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এর পূর্বে গত রবিবার স্কুল ছুটির পর একই ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর এক ছাত্রী বাড়ী যাওয়ার সময় নয়নপুর গ্রামের মিধাগো বাড়ির আনোয়ার উল্যা (৭০) নামের এক বৃদ্ধ কৌশলে নির্জন সুপারী বাগানে নিয়ে ছাত্রীর শ্লীতাহানি করে । পরে ছাত্রীটি বাড়িতে এসে তার মাকে জানালেও প্রভাবশালী মহলের ভয়ে হাসপাতাল বা থানায় যেতে পারেননি মেয়ের পরিবার। ওই ঘটনায়ও একই ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের শালিসদার মোঃ কামাল লন্ডনী, মোঃ খোকন, মোঃ সূজন, মতিন মেম্বার, সোলায়মান খাঁ, মোঃ লোকা, মোঃ বাচ্ছুর উপস্থিতিতে সোমবার বিকেলে আনোয়ার উল্যার ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় দেন। কিন্তু ছাত্রীর মাতা ফরিদা ইয়াসমিন অদ্যাবধি কোন টাকা পায়নি বলে জানায়।

শালিসদার মোঃ খোকন জানান, জরিমানার টাকা ছাত্রীর নামে ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা হবে। বিয়ের সময় তার কাজে লাগবে। গ্রাম্য শালিসরা শ্লীতাহানির বিচারের রায় দেওয়া আইনসম্মত কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সামাজিক কারনে করতে বাধ্য হয়েছি।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লোকমান হোসেন জানান, এ ধরনের ঘটনায় গ্রাম্য মাতাব্বরদের শালিস বা জরিমানা করা সম্পুর্ন বে-আইনী। যদি এমন কাজ তারা করে থাকে তাহলে আমি বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবল আলম জানান, সৃষ্ট বিষয় গুলোতে অভিযুক্ত ও শালিসদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।