খালেদার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহে ফের বাঁধা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের অবস্থানরত তাঁর কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য আনা খাবারও কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। পরে খাবার বহনকারী ভ্যানগাড়িটি গুলশান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস ইউং শামছুদ্দিন দিদার সাহস২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শামসুদ্দিন দিদার বলেন, দুপুরে একটি ভ্যানে করে বাইরে থেকে খাবার আনা হয়। কিন্তু কার্যালয়ের বাইরে অবস্থানরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা খাবারসহ ভ্যানটিকে ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন। গুলশান থানার পুলিশ দাবি করেছে, খাবার ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তারা অবগত নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার রাত আটটায় ওই কার্যালয়ে অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য খাবার এলেও পুলিশ খাবারের ভ্যানটি ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এরপর গতকাল সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবারও ভেতরে নিতে দেওয়া হয়নি।
দলীয় সূত্র জানায়, পুলিশ খাবার নিতে বাধা দেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার কার্যালয়ের ভেতরেই সাদামাটা রান্নার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার পর তবারক দেওয়া হয়। অনেকে সেটা খেয়েছেন।
গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বলেন, ‘শুকনো খাবার, ফলমূল, জুস ইত্যাদি খেয়ে এ পর্যন্ত আছি। এই কার্যালয়ে যাঁরা আছেন, তাঁরাও একইভাবে শুকনো খাবার খেয়ে আছেন।’
সালাহ উদ্দিন আহমদ গতকাল বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ভাতে মারার, পানিতে মারার নীতি অবলম্বন করে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, কেবলসহ সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে শেখ হাসিনা নিষ্ঠুর কায়দায় খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।