সন্ধ্যা নামলেই রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের আতঙ্ক
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ও উল্লাপাড়া হয়ে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার রেলপথ নিয়েই এখন পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যত আতঙ্ক।
নাশকতাকারীদের ইতোমধ্যে উল্লাপাড়ায় রেলসেতুতে পরপর দু'দিন অগ্নিসংযোগ করেছে। চলমান হরতাল-অবরোধে যাত্রী সাধারণের একমাত্র ভরসা হওয়ায় নাশকতাকারীদের এখন টার্গেট হল রেল। এ কারণে সন্ধ্যা নামলেই পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের নিরাপত্তা প্রহরীসহ চুক্তিভিত্তিক আনসার সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন জিআরপি থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জ ও ঈশ্বরদী পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার রেলপথ নিয়েই তাদের যত আতঙ্ক। রাত হলে যাত্রীদের পাশপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে সংশ্লিষ্টদেরও আতঙ্কের শেষ নেই। তাদের নিরাপত্তা বাহিনীতে সদস্য মাত্র ২৭ জন। যদিও আপাত কালীন ২৩০ জন আনসার ও ১০ জন নিরাপত্তা পুলিশ অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। তারপরও এতটুকু স্বস্তি নেই। তবে বর্তমানে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি এখানে নিরাপত্তার কাজে যোগ দিয়েছে।
আনসার বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ও উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর পর্যন্ত ১৬৮ এবং জেলার অভ্যন্তরে মহাসড়কে আরও ৩০০ জন, সর্বমোট ৪৬৮ জন আনসার সদস্য পুলিশ ও র্যাবের পাশপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন। মহাসড়কের চেয়ে রেললাইনে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের নিয়েই বেশি আতঙ্ক।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম বলেন, ট্রেন এবং রেললাইনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরাও আতঙ্কের মধ্যে আছি। মহাসড়কের তুলনায় রেল বিভাগের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অপ্রতুল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।