২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতালে প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে গেলেও হরতাল আর অবরোধের কারণে দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর সোনা মসজিদে জানুয়ারি মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। 

গত জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যদের পাহারায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পারাপার না হলে হয়তো আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তো রাজস্ব আদায়ে। বঞ্চিত হতো সরকার রাজস্ব আদায় থেকে। এ ছাড়া চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ১০দিনেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩ ভাগের ২ ভাগ অর্জিত হয়েছে। 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস সহকারি কমিশনার নূরুল বাসির জানান, চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল আর অবরোধের কারণে স্বাভাবিকভাবে পণ্য আমদানি করতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা। আমদানির পরিমাণ কম হওয়ার ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, গত ডিসেম্বরে ভারতীয় পণ্য বোঝাই ট্রাক স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে প্রতিদিন ৫ শতাধিক। এ সময় ব্যাপক আমদানি হতো বিভিন্ন জাতের ফল, পশু খাদ্য। বর্তমানে ফল আমদানি প্রায় করছেননা আমদানিকারকেরা। 

এছাড়া গত ডিসেম্বরে রাজস্ব আদায় হতো প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা। বর্তমানে আদায় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। এমতাবস্থায় চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় আরও কমে যাবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের অর্থনীতি।