লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৫নম্বর চণ্ডিপুর ইউনিয়নের কামার হাঁট বাজার সংলগ্ন মাছিমপুর কামারবাড়ি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভুবন কর্মকারের পরিবারের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে কামারহাট বাজারের সার ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন হেঞ্জু ঘর নির্মাণ করে দখলের পায়তারা করছে। এব্যাপারে ভুবন কর্মকার গতকাল বুধবার লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হেঞ্জু, বসু ও দয়ালসহ ৭/৮জন সন্ত্রাসী মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভুবন কর্মকারের সম্পত্তির কয়েকটি আম গাছ ও সুপারি গাছ কেটে টিন দিয়ে একটি চারপা ঘর নির্মাণ করে। এ সময় ভুবন কর্মকার বাঁধা প্রদান করলে তাকে মারধর করার জন্য তেড়ে আসে জয়নাল আবেদীন হেঞ্জুর লোকজন।

এ ব্যাপারে ভুবন কর্মকার জানান, বিগত ত্রিশ বছর পূর্বে একই বাড়ির মৃত রসরাজ কর্মকার থেকে তিনি ও তার ছোট বোন জয়ন্তী রানী কর্মকার সাড়ে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।

কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে হটাৎ জয়নাল আবেদীন হেঞ্জু ও তার লোকজন ভুবন কর্মকারের ঘরের সামনে কয়েকটি আম গাছ ও সুপারী গাছ কেটে টিন দিয়ে একটি চারপা ঘর নির্মাণ করে । 

এ সময় ভুবন কর্মকারের লোকজন বাঁধা প্রদান করে কোন ক্ষমতায় তিনি তার সম্পত্তিতে ঘর করছেন জিজ্ঞাসা করলে জয়নাল আবেদীন হেঞ্জু জানান, আমি রসরাজ কর্মকারের ছেলে বলরাম কর্মকারের কাছ থেকে ১ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি।

এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন হেঞ্জু জানান, আমি ৫/৬ বছর পূর্বে বলরাম ও হারাধন কর্মকারের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেছি। তারা আমাকে জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ধারস্থ হলে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাকে আমার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য একটি লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান করলে আমি আমার সম্পত্তি দখলে নিতে দোকান নির্মাণ করি। 

সম্পত্তি ক্রয়ের কোন কাগজপত্র আপনার কাছে আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি টাকা দিয়েছি এখনো রেজিস্ট্রি করি নাই। বিক্রেতারা আমাকে আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করায় আমি আমার সম্পত্তিটি দখল করেছি।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, আমি ঢাকায় আছি, ঠিক মনের করতে পারছিনা বিষয়টি। ঢাকা থেকে আসলে এ ব্যাপারে আপনাদেরকে বলতে পারবো।