কালীগঞ্জের নায়ক আশিক জানালেন
আলোচিত নায়িকা হ্যাপির প্রতরণার কথা !!!
জাহিদুর রহমান, ঝিনাইদহ
প্রিন্টঅঅ-অ+
এবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের নায়ক আশিক জানালেন, আলোচিত নায়িকা হ্যাপির প্রতরণার কথা। আলোচিত মডেল অভিনেত্রী হ্যাপির কাহিনী নিয়ে পানি কম ঘোলা হয়নি। আর এই নায়িকার প্রতরণার নানা রকম জোচ্ছুরীর কাহিনী জানাতে কালীগঞ্জের চোখ ওৎ পাতে কালীগঞ্জের আলোচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শহরের নিশ্চন্তপুর ভাটা পাড়া নিবাসি নায়ক হাফিজুর রহমান (আশিক)এর বাসায়।
এসময় নায়ক আশিক জানায় আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপির প্রতরণার ভয়ংকর সব তথ্য । অনেক দিন ধরে মিডিয়ায় গরম খবর চলছে আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি-ক্রিকেটার রুবেলের খবর। কিন্তু এর নেপথ্যে আছে আরোও নানা কাহিনী। আর এই কাহিনী জানতে কালীগঞ্জের চোখ বিভিন্ন সময়ে খোজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সাথে কিছু অন্তর্অঙ্গ ছবি।
২০১০ সালের মাঝামাঝিতে হ্যাপি মডেলিং গানের মাধ্যমে মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশ করে। এরপর চলচিত্রের বিভিন্ন প্রযোজকের সাথে তার সখ্যতা বেড়ে উঠতে থাকে। এমনকি দেহের লোভ দেখিয়েও বিভিন্ন প্রযোজকের মনে জায়গা করে নিতে নানা ধরনের চেষ্টা চালাতে থাকে। একের পর এক পরিচালক প্রযোজকের পিছনে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে আঠার মতো লেগে থাকে একটি কাজ পাওয়ার আশায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ও আশিক একসাথে বিভিন্ন ছবির সুটিং সহ একসাথে চলাফেরা করতো। আশিক ই মুলত টেলিফিল্মে কাজ করার জন্য হ্যাপির মায়ের সাথে কথা বলে হ্যাপিকে নিয়ে আসে। কিছুদিন আশিকের সাথে মোবাইলে কথাবলার পর বাড়তে থাকে সখ্যতা। এমনকি বিভিন্ন স্থানেও তাদের ঘোরাঘুরি আর বিভিন্ন লোকেশনে চলে ছবি তোলার পালা। এই আশিকই নানা ঘটনা-অঘটনের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী।নায়ক আশিকের সাথে টেলিফ্লিমে অভিনয়ের কথা বলে বিভিন্ন লোকেশনে ফটো সেশন করেই হাতিয়ে নিয়েছে প্রতরনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ।
হ্যাপি এভাবে দেহের লোভ দেখিয়ে ক্রিকেটার রুবেলসহ বিভিন্ন ছেলেকে ফাঁসিয়েছে বলে জানা গেছে। হ্যাপি প্রতিদিন ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠে আর রাতে তাদের সাথে ইয়াবা সেবন করে বন্ধুদের সাথে রাত্রিযাপন করে।
জানা গেছে, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন পাশাপাশি পরিচয় চলচিত্র পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সাথে। পরিচালক মানিক তাকে একটি ছবিতে অভিনয়ের আশা দিয়ে গ্রীণ রোডে একটি বাসা ভাড়া করে হ্যাপীকে নিয়ে প্রায় এক থেকে দেড় বছর অবস্থান করেন। এভাবে থাকার পর ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে কিছু আশা কিছু ভালোবাসা নামক ছবিতে নবাগত নায়ক আবীরের বিপরীতে হ্যাপিকে নায়িকা হিসেবে নির্বাচন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, হ্যাপি এভাবে বিভিন্ন ছেলেকে ফান্দে ফেলিয়ে অনেক টাকাও আদায় করে নিয়েছে। আরো জানায়, হ্যাপি যেসব বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতো তাদের বয়স ৫০ উর্ধ।
তিনি আরো জানান, হ্যাপির সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে আমার ( আশিক) সাথে আলাপ করলে আমি মিডিয়ার কর্মীদের সব কিছু জানাতে পারবো।হ্যাপির পারিবারিক খোজ নিয়ে জানা গেছে, হ্যাপির বাবা দুইজন। মূলবাপ সাবেক সেনা সদস্য ইউসুফ আলী। সৎ বাপ সাভারের বাইপাইল এলাকার আলহাজ্ব ওমর আলী। হ্যাপির মা হামিদা বেগম ওমর আলীর এখন তিন নম্বর স্ত্রী। আর ইউসুফ আলী অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন। সেখানে তার দুই ছেলে আছে।
আলোচিত নায়িকা মডেল হ্যাপির আরো কাহিনি জানতে আমাদের সাথেই থাকুন...................
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।