ঝিনাইদহের মসজিদগুলো কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে পর্যটনকেন্দ্র
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো ১৯৯৩ সালে মাটি খুঁড়ে আবিস্কৃত হয়। এখানে প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান মিললেও এখনো পর্যন্ত কোনো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি।
মাটি সরিয়ে অভিনব সব স্থাপনা আবিষ্কার করা হলেও তার ইতিহাস ‘মাটিচাপা’ পড়েই থাকছে। বারবাজারের এ সকল সুদৃশ্য প্রত্নত্তত্ব নিদর্শনের তেমন প্রচার না থাকায় পর্যটক শূণ্য থাকছে এলাকাটি। এ ছাড়া আবাসিক হোটেল সহ অন্যান্য সুব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হচ্ছে এ অঞ্চল। এলাকাবাসীর আশা সরকারি উদ্যোগে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে পর্যটকদের উৎসাহী করতে পারলে এবং সরকারিভাবে মসজিদগুলোকে ঘিরে পরিকল্পিতভাবে শোভাবর্ধনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে সরকারের পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষেরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারতো।
উল্লেখ্য ঝিনাইদহ শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে বারোবাজারের অবস্থান। বারো আউলিয়া, খানজাহান আলী, গাজী কালু চম্পাবতী, গঙ্গারিডই বারোবাজারের ইতিহাসের শেষ নেই। বারোবাজারের রেললাইনের পশ্চিম পাশে তিন বর্গকিলোমিটার জায়গার মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মাটি খুঁড়ে মসজিদসহ ১৫টি প্রত্নতাত্ত্ব্বিক নিদর্শনের সন্ধান পেয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে খনন করে এ পর্যন্ত ওই নিদর্শনগুলো মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ নিদর্শনের এ স্থানটির নাম দিয়েছে ‘শহর মোহাম্মদাবাদ’।
মনে করা হয়, এসব পঞ্চদশ শতাব্দীর কীর্তি। তবে ১৯৯৩ সালে জোড়বাংলা মসজিদ খননের সময় একটি শিলালিপি পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে পুসাইন ৮০০ হিজরি। এ শিলালিপিটি এখানকার প্রত্নতত্ত্বের অন্যতম দলিল। এ থেকেই বোঝা যায়, নিদর্শনগুলো প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন। বেশিরভাগ নিদর্শনের পাশে বিরাট বিরাট দীঘি রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।