রামগঞ্জে সরকারি অর্থ দিয়ে যুবলীগ নেতার বাঁধ নির্মাণ
জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর ভাদুর ও ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নের সমেশপুর-সাহারপাড়া খালে স্থানীয় প্রভাবশালী মদিনা ব্রিক্স ফিল্ডের মালিক আমির হোসেন (ডিপজল ব্রিক) ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোঃ মুন্সিয়া ব্রিক্স ফিল্ড সংলগ্ন খালে জমির টপ সয়েল বিক্রির ব্যবসা করতে বাঁধ দিয়ে মাটি আনা নেওয়ার কারনে উক্ত মাঠের শত শত একর জমির বোরো ফলন হুমকির মুখে পড়েছে।
এতে করে চলতি বোরো ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বার বার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানালেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক রহিম উদ্দিন, মোঃ সেলিম, রহিম মিয়া জানান, গত অর্থবছরে স্থানীয় কৃষকদের দাবির মুখে উপজেলা প্রশাসন প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভাদুর ও ভোলাকোট গ্রামের সাহারপাড়া সমেষপুর খালটি সংস্কার করে। খালটি সংস্কারের সময় মারাত্মক অনিয়ম হলেও তারপরও স্থানীয় কৃষকরা আশার আলো দেখেন। কিন্তু কৃষকরা এবার নবউদ্যেমে ধান চাষ শুরু করার কয়েকদিনের মধ্যে উক্ত ব্রিক্স ফিল্ডের মালিকের সহযোগিতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়দানকারী মুন্সিয়া উক্ত খালে বাঁধ দিয়ে মাটি আনা নেওয়া শুরু করেন। এতে স্থানীয় কৃষকদের মাথায় হাত পড়ে।
তারা আরো জানান, উক্ত ব্রিক্স ফিল্ডের কারণে উক্ত মাঠের একরের পর একর জমির টপ সয়েল কেটে নেওয়ায় বিগত বছরগুলোতে ধান ও মৌসমি ফসল উৎপাদন চরমভাবে ব্যহত হয়েছে। এসময় মালিকপক্ষের লোকজন বাকী জমির মাটি বিক্রি করতে আমাদের এক প্রকার বাধ্য করে আসছে।
এ ব্যাপারে ব্রিক্স ফিল্ডের মালিক আমির হোসেন ডিপজল জানান, আমি মাটি ক্রয় করেছি স্থানীয় মোঃ মুন্সিয়ার কাছ থেকে। সে কোথা থেকে মাটি দিবে সেটা তার ব্যাপার। মুন্সিয়া খালে বাঁধ দিয়েছে, তাকে বাঁধা দিলে তার দেড়, দুইশ লোক এসে ঝামেলা করবে। তাই আমি চুপ রয়েছি। আপনারা যদি চান আমি স্ট্যাম্পে লিখিত দিবো আগামি দু’মাস পর বাঁধটি কেটে ফেলা হবে।
বাঁধ নির্মাণকারী মোঃ মুন্সিয়া জানান, আমরা আওয়ামী লীগ করে কি পেয়েছি। কাজ করেও খেতে পারবো না। তাহলে চুরি চামারি করব সেটাই ভালো। খালে বাঁধ দেওয়ায় নিজ দলের লোকেরাও টাকার ভাগ চায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব। খালে বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ ও জমির টপ সয়েল কেটে ব্রিক্স ফিল্ডে নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের বিধি নিষেধ রয়েছে। আমরা শীঘ্রই আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহাবুবল আলম জানান, আমি এব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।