সারিয়াকান্দি পৌরসভার বেহাল দশা
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সারিয়াকান্দি পৌরসভা উন্নয়নমূলক কাজ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শাহী সুমন পৌরবাসীর কাছে উন্নয়নের রূপকার হতে চান।
এ পৌরসভার নির্বাচনের এখনো প্রায় ১০মাস বাকি থাকলেও আলমগীর শাহী সুমন এরই মধ্যে পৌরবাসীর ঘরে ঘরে গিয়ে সমস্যা শুনে সমাধানের জন্য উপায় খুঁজে বের করার পাশাপাশি সমাধানের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, ৪ নভেম্বর ১৯৯৯ ইং সালে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরকে পৌরসভার রূপ পায়। এর পর থেকে পৌরবাসী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় উন্মুখ হয়ে বসে থাকে। কিন্তু তা না পাওয়ায় পৌরবাসী আজ হতাশায় ভুগছেন। প্রায় ১৮হাজার ৫’শ ৪৩জন নারী-পুরুষ নিয়ে গঠিত পৌরসভাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ৩.৫৭ বর্গ কিলো-মিটারের পৌর এলাকায় প্রায় ৪০ কি.মি কাঁচা-পাকা রাস্তা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পৌরবাসীর অনেকেই রাস্তার অভাবে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
আগামী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভের জন্য আলমগীর শাহী সুমন দিনরাত পৌরবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়ে এ সকল সমস্যা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছেন। এবং সমস্যা কবলিত লোকজনের সাথে উঠান বৈঠক, ঘরোয়া বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের পথে এগোচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি পৌরসভার রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
গতকাল পৌর এলাকার ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় শাহী সুমনের উদ্যোগে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাটগুলো ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খরচ করে পাইলিং এর পর বালির বস্তা ফেলে রাস্তা সচল করছেন। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ, গরীব অসহায়দের বাড়িতে ল্যাট্রিন প্রদান, বিভিন্ন রোগে ভুক্তভোগীদের জন্য ঔষধ প্রদান করে আসছেন তিনি। এছাড়াও তিনি সালিশ দরবারের মাধ্যমে বিবাদমান গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করে দিয়ে সহাবস্থানে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনে পিছিয়ে পড়ে থাকা ক্রীড়ামোদীদের জন্য সারিয়াকান্দি পাবলিক মাঠ হাট ইজারাদের কবল থেকে ২৩ বৎসর পর অবৈধ দখল মুক্ত করে খেলার উপযোগী করতে মাঠটিকে ব্যাপক সংস্কার করেছেন।
গত দুই তিন মাস আগেই মাঠটিতে হাটুরেদের আনাগোনায় সরব থাকলেও সংস্কার করায় আজ মাঠটির চারিদিকে ভরে উঠেছে সবুজ ঘাসের সমারোহে। অপরদিকে হাটের চাল, ডাল, তরি তরকারী ব্যবসায়ীদের শেড ঘরের অভাবে দীর্ঘদিন থেকে দুর্ভোগ পোহাতে থাকলেও কারও নজরে আসেনি বিষয়টি। স্থানীয় রাজনীতিতে সুপার পাওয়ার ম্যান হিসাবে পরিচিত ওই আলমগীর শাহী সুমন এরই মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৩৫টি দোকানীদের জন্য শেড ঘর নির্মাণ করে দিয়ে দোকানীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। চাল দোকানী রাজ্জাক, সাইফুল জানান, শেড ঘরের নিচে চাল বিক্রি করতে পারবো, এটা কখনোই ভাবিনি।
আজ এটি বাস্তবায়নে আমাদের কাছে তা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ৮নং ওয়ার্ডের আব্দুল জলিলের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, আলমগীর শাহী সুমনের মতো মানুষ আমি আগে কখনো দেখিনি। কারণ গরীব অসহায় মানুষদেরকে সেবা দিয়ে মন জয় করা এমন তৎপরতা অকল্পনীয়। ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অতুল সাহা বলেন, ইতিপূর্বের মেয়রেরা নিজেদের উন্নয়ন করলেও পৌরবাসীদের সমস্যা সমাধানের দিকে তাকাননি। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার আবেদন নিবেদন করে ব্যর্থ হওয়ায় মানুষ মেয়র পদে নতুন মুখের দিকে ঝুঁকবেন, এমনটাই মনে করা স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে আলমগীর শাহী সুমন বলেন, রাজনীতি দেশ ও জাতির কল্যাণে একটি মহৎ কাজ। সে জন্য আগামীতে পৌরবাসীর আশীর্বাদে যদি মেয়র নির্বাচিত হতে পারি তবে সারাজীবন সুখে দুখে তাদের পাশে থাকতে চাই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।