হুদা কেন, কারো প্রস্তাবেই সংলাপ হবে না
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদার প্রেরিত পত্রে সংলাপ শুরুর সম্ভবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সংলাপের প্রস্তাব অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য। যে সব ব্যক্তি সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছেন সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতাকে আড়াল করার জন্যই তারা এটা করেছেন। তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) সঙ্গে সরকার ও আওয়ামী লীগকে একই কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন তারা।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও’র উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ শেষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তোফায়েল বলেন, ‘যারা পেট্রোল বোমা মেরে মায়ের কোল খালি করেছে তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। সেক্ষেত্রে শামসুল হুদা কেন, কারও প্রস্তাবেই কোন সংলাপ হবে না। সংলাপের কথা যারা বলছে তারা পরোক্ষভাবে জঙ্গি তৎপরতার পক্ষ নিচ্ছে।’
শান্তির প্রশ্নে যদি সন্তু লারমার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যদি সংলাপ করতে পারেন তা হলে বিএনপির সঙ্গে কেন সংলাপ করবেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্তু লারমার সঙ্গে বর্তমান অবস্থার কোনো মিল নেই। বর্তমান অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করলে ভবিষ্যতে জঙ্গি তৎপরতা ও সহিংসতা উৎসাহিত হবে।’
সাবেক সিইসির বিরুদ্ধে তিনি বলেন, ‘শামসুল হুদা সেই ব্যক্তি যিনি বিএনপিকে দুই ভাগ করেছিলেন। ড. কামালসহ যারা শোক জানাতে গিয়েছিলেন তারা কী বেগম জিয়াকে বলেছিলেন ‘আপনি এই সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করুন? নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে কোনো আপেস নেই।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধি তারানকোর মধ্যস্থতায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসেছিল। তা হলে এখন সংলাপ অসম্ভব কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ‘এটা লং হিস্টরি’ আখ্যায়িত করে তিনি তা এড়িয়ে যান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।