আম্পায়ার পরিচালনায় রেকর্ড শেফার্ড ও বাকনর
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কতজনেরই তো কত রেকর্ড আছে! সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ম্যাচে দেশের হয়ে মাঠে নামা, সবচেয়ে বেশি রান, বেশি উইকেট, সর্বোচ্চ ডিসমিসাল—এমনি আরও কত কিছু! ক্রিকেট বিশ্বকাপ সামনে রেখে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও ফিচারে হরহামেশাই উঠে আসছে এসব পরিসংখ্যান। কিন্তু ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা খেলোয়াড় না হয়েও গড়ে ফেলেছেন অনন্য কিছু রেকর্ড। আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ডের কথাই ধরুন। সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই ইংলিশ আম্পায়ার বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ম্যাচ পরিচালনা করে অমর হয়ে আছেন ক্রিকেট ইতিহাসে।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ডেভিড শেফার্ড। কিন্তু তাঁর আগে তিনি পৃথিবীতে রেখে গেছেন ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ের এক সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শেফার্ড পরিচালনা করেছেন ৯২টি টেস্ট ও ১৭২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওই তিরাশি সাল থেকেই তাঁর পরিচালিত ম্যাচের সংখ্যা ৪৬। ছয়টি বিশ্বকাপে আম্পায়ার হিসেবে এসে তিনি পরিচালনা করেছেন তিন আসরের ফাইনাল। ডেভিড শেফার্ডের সবচেয়ে কাছে পৌঁছতে পেরেছিলেন এক লম্বা ও কালো বর্ণের মানুষ। নাম তাঁর স্টিভ বাকনর। জ্যামাইকার বাকনর বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনায় শেফার্ডকে ধরতে পারেননি মাত্র একটি ম্যাচের জন্য। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে অভিষিক্ত বাকনর ফাইনাল পরিচালনায় অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন শেফার্ডকেও। তিনি পরিচালনা করেছেন পাঁচটি শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচ।
শেফার্ড ও বাকনর ছাড়া বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ আম্পায়াররা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রুডি কোয়ের্টজেন (২৫টি), অস্ট্রেলিয়ার সায়মন টাউফেল ও ভারতের শ্রীনিবাসন ভেংকটারাঘবন (দুজনেই ২৩টি করে), পাকিস্তানের আলীম দার ও অস্ট্রেলিয়ার ড্যারিল হারপার (২২টি করে)। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিলি বাউডেন, ইংল্যান্ডের ডিকি বার্ড ও পাকিস্তানের খিজির হায়াত পরিচালনা করেছেন ১৮টি করে বিশ্বকাপ ম্যাচ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।