গণধর্ষণের পর খুবলে নিয়েছে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস
ভারতের রাজধানী দিল্লির কাছাকাছি একটি শহরে মানসিক প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে হত্যা করার পর অভিযুক্তদের তন্ন তন্ন খুঁজছে পুলিশ।
রবিবার বহু মহিলাসহ শত শত মানুষ রোতাক নামে শহরটির পাশে দিল্লি মুখি একটি মহাসড়ক অবরোধ করার পর হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে।
২৮ বছরের ঐ মহিলাকে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর বুধবার একটি খোলা মাঠে তার ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পাওযা যায়।
ময়না তদন্তে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যুর আগে ঐ মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়।
ড এস কে ঢাটারাওয়াল নামে যে চিকিৎসক ময়না তদন্ত করেছেন, তিনি জানিয়েছেন মহিলার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।
তার যৌনাঙ্গের ভেতর পাথরের টুকরো, ব্লেড, লাঠি ঢোকানো হয়। এমনকি তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শশাঙ্ক আনন্দ বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এটা ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা।
জানা গেছে কয়েকমাস মহিলাটি রোতাকে এসে তার বোনের কাছে ওঠে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হচ্ছিলো।
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর তার বোনের বাড়ি থেকে ১৮ কিমি দুরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।পুলিশ যথেষ্ট তৎপর নয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত মহিলার বোন।
উল্লেখ্য ২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর সারা ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
সূ্ত্র: বিবিসি
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।