কায়রোতে সংঘর্ষে নিহত ২২
মিসরের রাজধানী কায়রোতে ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষে আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে জামালেক ফুটবল ক্লাব ও ইএনপিপিআই এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে এয়ার ডিফেন্স স্টেডিয়ামের বাইরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জামালেকে’র সমর্থকরা বিনা টিকেটে বলপূর্বক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সহিংস সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
তবে কিভাবে এত লোকের মৃত্যু হয়েছে তা পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাঙ্গামার সময় পদদলিত অনেক মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।
বাইরে সংঘর্ষ চললেও স্টেডিয়ামের ভিতরে খেলা স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যায় এবং ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়।
সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
সংঘর্ষ থামার পর ঘটনাস্থলে হতাহতদের আশপাশে হাজার হাজার পরিত্যক্ত জুতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। স্টেডিয়ামের মাত্র একটি গেট দিয়ে তাদের প্রবেশ করতে দেয়ার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করেছেন জামালেকের সমর্থকরা।
এর আগে ২০১২’র ফেব্রুয়ারিতে দেশটির বন্দর শহর পোর্ট সৈয়দে ফুটবল খেলা শেষে সহিংসতায় ৭০ জন নিহত হয়েছিল।
ওই সময়ও লিগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সম্প্রতি ওই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পর ফুটবল ম্যাচগুলোতে প্রচুর দর্শক সমাগম হচ্ছিল।
মিসরের ফুটবল-প্রাণ সমর্থকদের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর শত্রুতার ও উত্তেজনার ইতিহাস আছে। ফুটবল ভক্তদের অনেকেই ২০১১’র ‘আরব বসন্ত’র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
ফুটবলের এসব পাড়ভক্তরা গভীরভাবে রাজনীতি সচেতন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারককে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদে এদের বিশেষ ভূমিকা ছিল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।