- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- জুবায়ের হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
জুবায়ের হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান এবং মাহবুব আকরাম। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, শফিউল আলম সেতু এবং অভিনন্দন কুণ্ডু অভি। তাদেরকে কারাদণ্ডের অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন ও মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ।
দণ্ডপ্রাপ্তরাও সবাই জাবির বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন কারাগারে আটক আছেন। বাকি ৬ জন পলাতক।
আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে জুবায়ের হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার কথা থাকলেও ওই দিন আদালতে আসামিদের হাজির করতে না পারায় বিচারক এ বি এম নিজামুল হক ৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ জানুয়ারি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক এ বি এম নিজামুল হক। সেদিন জামিন থাকা ৭ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার ১৩ আসামিরা হলেন- মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, খন্দকার আশিকুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ রইস, রাশেদুল ইসলাম রাজু, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম ও জাহিদ হাসান। ।
১৩ আসামির মধ্যে মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান সোহাগ এ সাতজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এর মধ্যে পলাতক আছেন ৬ আসামি- খন্দকার আশিকুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ রইস, রাশেদুল ইসলাম রাজু, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম ও জাহিদ হাসান।
গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার কাঠগড়া থেকে চার আসামি খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও মাহবুব আকরাম পালিয়ে যান। তাদের ছাড়াই মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ ৪র্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন রাতেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে মারা যান জুবায়ের।
জুবায়ের হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। এ মামলার ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জন ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।