দিল্লিতে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত বিধানসভা ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষায় জানা গেছে, গত বারের তুলনায় বিজেপির ভোট বাড়ছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি বাড়ছে আম আদমি পার্টির (আপ) ভোট। কংগ্রেসের ভোটব্যাংকের অনেকটাই চলে যাচ্ছে তাদের দখলে।

এবিপি নিউজ-এসি নিয়েলসেন তাদের বুথ ফেরত সমীক্ষায় জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি পেতে পারে ৪৩টি আসন, বিজেপি ২৬টি আসন এবং কংগ্রেস মাত্র একটি আসন। অন্য প্রায় সবগুলো বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই এর কাছাকাছি পূর্বাভাস দেখা গিয়েছে।

কিন্তু আসল চিত্রটা ধরা পড়েছে শতাংশের হিসেবে। দিল্লিতে ২০১৩ সালে বিধানসভা ভোট হয়। সে বার বিজেপি পেয়েছিল ৩১.১ শতাংশ ভোট। এ বার এবিপি নিউজের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, শতাংশের হিসেবে ভোট বাড়ার সম্ভাবনা বিজেপির। তারা পেতে পারে ৩৪ শতাংশ ভোট। উল্টো দিকে, ২০১৩ সালে আপ পেয়েছিল ২৯.৫ শতাংশ ভোট। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এ বার তাদের ৪১ শতাংশ ভোট পাওয়ার কথা। অর্থাৎ তাদের ভোট সাড়ে ১১ শতাংশ বাড়তে পারে। এর জন্য মূলত দায়ি কংগ্রেস!

ঝাড়খণ্ড ভোটের মতো দিল্লিতেও ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।

২০১৩ সালে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৪.৬ শতাংশ ভোট। এবিপি নিউজ জানায় এ বারে তারা পেতে পারে ১৫ শতাংশ ভোট। এই সমীক্ষা যদি ঠিক হয়, তা হলে গত দুবছরে কংগ্রেসের ভোট কমছে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি। আর সমীক্ষা থেকে এটাও পরিষ্কার, এর পুরো লাভটাই তুলতে পারে কেজরিওয়ালের 'আপ'।

শুধু বুথ ফেরত সমীক্ষাই নয়, ভোটের আগে জনমত সমীক্ষাতেও আভাস ছিল, বিজেপির থেকে কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছে 'আপ'। আট মাস আগে লোকসভা ভোটে দেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদি হাওয়া দেখা গিয়েছিল। সেই হিসেব ধরলে দিল্লির ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল বিজেপি, 'আপ' মোটে ১০টিতে।

এদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরণ বেদী জরিপের ফলাফলকে প্রত্যখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, বিকেল ৩টার পরে ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। আর ওই জরিপগুলো তার আগেই করা হয়েছে। ফলে জরিপের ফলাফলের সঙ্গে ভোটের ফলাফল মিলবে না।

মাত্র ৪৯ দিন সরকার চালানোর পরে ক্ষমতা ছেড়েছিলেন কেজরিওয়াল। দুবছর আগে সে সময় তাঁর যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল। তার পরে 'আপ' ভেঙে অনেকেই বেরিয়ে গিয়েছেন।