১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা
শিক্ষকদের জন্য প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আজ শনিবার থেকে আন্দোলনে যাচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর শিক্ষকরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার পর্যন্ত সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করবেন শিক্ষকরা। এছাড়াও প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে সকল শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে আন্দলোনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১৫ ফব্রুয়ারি রবিবার নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হল:
১। গত ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫-এর মধ্যে শিক্ষকদের জন্য প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের ঘোষণা দিতে হবে।
২। শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি – PF, Gratuity, Health Insurance নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, Extra Course, Thesis/Project এর Payment নিয়মিতকরণ করতে হবে।
৩। স্থায়ী ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে।
৪। সকল শিক্ষকদের স্ব স্ব বিভাগে বসার সুব্যবস্থা (কম্পিউটার, গবেষণা সরঞ্জামাদি, সেমিনার লাইব্রেরি ও অন্যান্য সুবিধাদি) নিশ্চিত করতে হবে।
৫। শিক্ষকদের জন্য Teachers’ Lounge (কমন রুম) দিতে হবে।
৬। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সুযোগ- সুবিধা না দেয়ায় বিভিন্ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ (সিনিয়র) শিক্ষকগণ অনেক বছর ধরে কাজ করার পরও একটা সময়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয় না যাতে করে শিক্ষকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়েই তাদের Career তৈরী করতে পারে। এসব শিক্ষক চলে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠ থেকে বঞ্চিত
হচ্ছে এবং Department-এর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ কারণে, অনতিবিলম্বে শিক্ষকদের সুযোগ- সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৭। সকল বিভাগের স্থায়ী ও নিয়মিত শিক্ষকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে এবং এই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা (সময়সীমা/কার্যকাল সহ) প্রণয়ন করতে হবে। তাছাড়া, পদোন্নতি সংক্রান্ত অনিয়ম দূর করে অবিলম্বে একটি কার্যকর, শিক্ষক-বান্ধব ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৮। ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ‘উন্নয়ন ফি’ (Development Fees) বাবদ যে টাকা নেয়া হয় সেটা অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে (বিভিন্ন ক্লাব/ফোরাম) ব্যয় করতে হবে।
৯। Orientation বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়া হলেও তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয় খুবই নগন্য (বিভাগ ভেদে ৫০-৭০ টাকা)। এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
১০। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ৪৪(১) ধারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে হবে।
এতে বলা আছেঃ “সংরক্ষিত তহবিল ছাড়াও, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাধারণ তহবিল থাকিবে এবং প্রত্যেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত সাধারণ তহবিলে শিক্ষার্থীদের নিকট হইতে সংগৃহীত বেতন, ফি ও অন্যান্য উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা করিয়া উহা হইতে ব্যয় করিবে।” শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে আমরা এই তহবিলের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ব্যবহার দেখতে চাই।
১১। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ, কমন রুম, ক্যান্টিনসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।