- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- রক্তের দাগ দেখেই উন্মোচিত হবে খুনের রহস্য
রক্তের দাগ দেখেই উন্মোচিত হবে খুনের রহস্য
রক্তের দাগ দেখেই বুঝতে পারা যাবে খুনটা কীভাবে হয়েছে। মাথায় আঘাত করে নাকি অন্যভাবে। অপরাধস্থলে লেগে থাকা রক্তের দাগের ধরন বিশ্লেষণ করে জানা যাবে খুনের মোটিভ। যা ঘটনা তদন্তে দারুণ সাহায্য করবে। অপেক্ষা শুধু একটি সফ্টওয়্যারের।
আর এই সফ্টওয়্যার তৈরির কাজেই এখন ব্যস্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় ও গবেষক নবনীতা বসু। সফ্টওয়্যারটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় এক কোটি রুপি। বেশ কিছুটা সময়ও লাগবে।
ঠিক কী ভাবে গোয়েন্দাদের কাজে লাগবে সফ্টওয়্যারটি? দুই নির্মাতা গবেষক বলছেন, কোনও অপরাধস্থলে রক্তের দাগ, কোথায় কতটা রক্ত পড়েছে, সে সব বিশ্লেষণ করে অপরাধের দৃশ্য পুনঃ নির্মাণে সাহায্য করবে এটি। ঠিক কী ঘটেছিল, নিহত ও আততায়ী ছাড়া ঘটনাস্থলে অন্য কেউ ছিল কি না, তার আঁচও পাওয়া যাবে ওই সফ্টওয়্যার থেকে। সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান সত্যি না মিথ্যা, তা-ও যাচাই করতে সহায়তা করবে এটি।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, রক্তের দাগ বিশ্লেষণ করে যে সব বিষয় নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে, সেগুলি হচ্ছে :
ক. আততায়ী কোথায় দাঁড়িয়ে, কোন দিক থেকে আঘাত করেছে?
খ. কত বার আঘাত করেছে
গ. কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে
ঘ. খুনি ও নিহত ছাড়া ঘটনাস্থলে অন্য কেউ থাকলে সে কোথায় ছিল এবং ঙ. রক্তপাতের সময়ে ওই জায়গায় উপস্থিত ব্যক্তিদের গতিবিধি কী রকম ছিল।
গবেষকের বক্তব্য, মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তের ফোঁটা দেখেও আন্দাজ করা যাবে, আততায়ী ভোঁতা না তীক্ষ্ণ কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই সফটওয়্যার-সংক্রান্ত গবেষণার জন্য শুকরের রক্তকে বেছে নেন তারা। কারণ, মানবরক্তের সঙ্গে এর অনেকটাই মিল রয়েছে।
এই সফ্টওয়্যারের কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকতে পারে মনে করেন নবনীতা। তার কথায়, ‘ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হলে কিছু সমস্যা হবে। কারণ হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে আশপাশে যে ধরনের রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে একটা ডাবের নীচের অংশ দিয়েও হুবহু একই রকম দাগ তৈরি করা যেতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে সফ্টওয়্যারের সাহায্যে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন। তখন অন্যান্য সূত্রের উপরেই বেশি নির্ভর করতে হবে।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।