রামগঞ্জে অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়নি ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ
প্রিন্টঅঅ-অ+
হাইকোর্ট ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরও রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের অতিরিক্ত ফির টাকা ফেরত পায়নি।
গত ১৫ জানুয়ারী বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের দেওয়া (শিক্ষামন্ত্রণালয় স্মারক নং-৩৭০০.০০০০.০৭২.৪৪.০৬২.১২.৪৯৩ (১) মোতাবেক উপজেলা ৬নং চণ্ডিপুর ইউনিয়নের হরিশ্চর ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, ফতেহপুর মাদ্রাসা, ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নুনীয়া পাড়া দাখিল মাদ্রাসা, ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ কে আই ফাজিল মাদ্রাসা কে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কোন টাকা ফেরত না দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সই স্বাক্ষর নিয়ে টাকা ফেরত না দিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এতে করে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও উপজেলাব্যাপী সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন অভিভাবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির প্রধান শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
উজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছেন, রামগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে এমপিওভুক্ত ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২টি মাদ্রাসা সহ ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়শিক্ষা শাখার জন্য সরকারের নির্ধারিত ফি ১হাজার ৩৮০ থেকে ১হাজার ৪৫০টাকা।
কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি হাইকোর্ট ও সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদেরকে জিম্মি করে বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে ৩ থেকে ৪গুন বেশী টাকা ফরম পূরণে আদায় করেছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, অতিরিক্ত ফির টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং ছাত্রছাত্রীদের কোচিং বাবদ নেওয়া হয়েছে। কাজেই ওই টাকা ফেরত দেওয়া অসম্ভব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেন জানান, হরিশ্চর ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা ছাড়া বাকী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবল আলমের কাছে টাকা ফেরত দিয়েছে। বিস্তারিত সবকিছু উনি জানেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবল আলম জানান, আমি শুনেছি টাকা ফেরত না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বোর্ডে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কোন অবস্থাতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আলাদা আলাদা আমি চিঠি দিয়েছি যে আমার কার্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তাদের অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।