আইএস (ইসলামিক স্টেট) দমনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে থাকলেও বিমান হামলা চালানো থেকে পিছু হটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আরব রাষ্ট্রটি সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে আসলেও সম্প্রতি ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি’কে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি জর্ডানী বিমানচালককে হত্যার ঘটনায় আরব আমিরাত সাময়িকভাবে বিমান হামলা চালানো বন্ধ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে আরব আমিরাত তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’

বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা আরব আমিরাত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় নিজ নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন ওই কর্মকর্তা।

এর আগে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আইএসবিরোধী বিমান হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব আমিরাত। আইএস’র পক্ষ থেকে জর্ডানী বিমানচালক মুয়াজ আল-কাসাসবেহকে বন্দী ও জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ভিডিও প্রকাশ করার পর গাল্ফ রাষ্ট্রটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আইএস’র হাতে বন্দী নাগরিকদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের আরও জোরালো পদক্ষেপ দাবি করেছে আরব আমিরাত।

সিরিয়ায় আইএস দমনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত হয়ে বিমান হামলা শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, জর্ডান ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, অভিযানের ৮০ শতাংশ বিমান হামলাই তারা চালিয়ে থাকে।

সম্প্রতি মুক্তিপণ দাবির ডেডলাইন পার হওয়ার পর জর্ডানী বিমানচালক কাসাসবেহকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে আইএস। এরপর থেকেই আরব আমিরাত আইএসবিরোধী হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।