- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- এবার নাইকো ও বড়পুকুরিয়া মামলার আসামি খালেদা
এবার নাইকো ও বড়পুকুরিয়া মামলার আসামি খালেদা
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার রুলের শুনানির উদ্যোগের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবার নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলা সচলের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চে এ দু’টি মামলার রুল শুনানির জন্য আবেদন করবেন।
তিনি জানান, এ দুই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের রুল শুনানির জন্য আবেদন প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে। যেকোনো সময় এ আবেদন করা হবে।
এদিকে আজ বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গ্যাটকো মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রুলের শুনানির জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বড়পুকুরিয়া
জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
নাইকো মামলা
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে করা ৫টি মামলা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে নাইকো, গ্যাটকো, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। প্রথম তিনটি মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত থাকলেও ট্রাস্টের দু’টি মামলার কার্যক্রম সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় দু’টি, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি এবং সিএমএম আদালতে একটি নালিশি মামলাও করা হয়েছে। হরতাল-অবরোধে নাশকতার এসব মামলায় হুকুমের আসামি হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।