শৈলকুপায় আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে হায়েনা গ্রুপের হারেজ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উনসত্তর থেকে ৯০ দশকের দূর্দান্ত ডাকাত আর বহু অপকর্মের হোতা সারুটিয়া ইউনিয়নের হায়েনা গ্রুপ খ্যাত হারেজ আলী’র গ্যাং আবার সক্রিয়ভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে। উল্লেখ্য সোমবার একটি দৈনিকে শৈলকুপার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খবর প্রকাশে তোলপাড় শুরু হয়েছে, টক অবদ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে সংবাদটি।
পর্যায়ক্রমে জাসদ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি-জামায়াত করে বর্তমান লেবাস পাল্টে নামধারী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সুবিধা লুটতে মরিয়া হারেজ আলী এ প্রজন্মের মানুষের কাছে ভাল সাজতেই এখন পাগড়ি জোব্বার বেশ ধরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপার থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শৈলকুপার চরমৌকুড়ী (পাথরবাড়িয়া) গ্রামের মৃত দেলবর মন্ডলের ডানপিটে পুত্র হারেজ ছোটবেলা থেকেই বেপরোয়া। দেশ স্বাধীনের পর চাঁদাবাজি আর ডাকাতি ছিল তার পেশা-নেশা, তৎকালীন জাসদ গণবাহিনী করে সারুটিয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খুন, গুম, ডাকাতি আর নারী ভোগের সাথে জড়িত ছিল হারেজ আলী।
৮১ সালে পাথরবাড়িয়া গ্রামের তৎকালীন ব্যবসায়ী আবেদ আলী’র স্ত্রী সালেহা ওরফে সলোকি’র প্রতি হারেজের কু-দৃষ্টি পড়ায় নারী লিপ্স হারেজ তার দলবল নিয়ে রাতের আঁধারে আবেদ আলীকে গ্রামের পার্শ্ববর্তী খাল ধারে খুন করে সুন্দরী সালেহাকে বিয়ে করে। সে সময় ডাকাত খ্যাত হারেজ আলী মৃত ডাক্তার আব্দুল ওহাবের বাড়ি ডাকাতিসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে ও আন্তজেলা পর্যায়ে একটি ডাকাত গ্যাং গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে একাধিক মামলা ও হত্যাকাণ্ডের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হারেজ ১৪ বছর কারাভোগের পর বের হয়ে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
গণবাহিনী করা কুখ্যাত হারেজ ডাকাত এক সময় গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয় এবং ৯০ এর গণ আন্দোলনে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দাপটের সাথে বিএনপির রাজনীতির মাঠে ঘাটি গেঁড়ে বসে। ৯৬ পরবর্তি গা ঢাকা দিয়ে ২০০১ সালে আবার ফিরে আসে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাঠে। চাঁদাবাজি আর সালিশ ব্যবসা করে চষে বেড়ায় পুরো বিএনপি আমল। শেষ অবধি ড. অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এর জারিকৃত জরুরী আইনের মধ্যে দিয়ে দেশে প্রশাসন সক্রিয় হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসী হারেজ ও তার বাহিনীর লোকজন লেবাস পাল্টে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হায়েনা গ্রুপখ্যাত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে থাকে।
বর্তমানে তার বাহিনীর দাপুটে হামলা, সংঘর্ষ লেগেই আছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী দাবি, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্মে জড়িত হায়েনা গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নইলে যে কোন সময় খুন-খারাবীর আশঙ্কা করছে তারা।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি হাসেম খান জানান, এক সময়ের ডাকাত সর্দার হারেজ বাহিনীর নাম শুনেছি তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেখানে গোয়েন্দা নজর দারী বাড়ানো হয়েছে, কথিত হায়েনা গ্রুপকে দমন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।