- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- পৃথিবীর পাঁচ লোমশ মানব
পৃথিবীর পাঁচ লোমশ মানব
মান-জ্ঞান-হুস এই তিনে হলো মানুষ। মানুষ তো মানুষই। তার আর অন্য কোনো পরিচয় নেই। তবে আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব বিভিন্ন সময়ে জন্ম নেয়া পাঁচ জন লোমশ মানুষের সাথে। যারা বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়েছিলেন তাদের গায়ের মাত্রাতিরিক্ত লোমের কারণে। এদের কেউ পরিচিতি পেয়েছেন ‘সিংহ মানব’ নামে আবার কেউ পরিচিত হয়েছেন ‘নেকড়ে মানব’ নামেও!
১. ইউ জেনওয়ান:ইউ জেনওয়ানের জন্ম চীনে। জন্ম থেকেই তার সারা শরীরে লোমের পরিমাণ অন্য সবার থেকে অনেক বেশি। মাত্র দুই বছর বয়সে তার সারা শরীর লোমে ঢেকে যায় । তার কানের কাছে লোমের পরিমাণ এতই ঘন ছিলো যে সে কানেই শুনতে পেত না। চীনের এই লোমশ মানুষটি কিন্তু একজন রকস্টার! তার ভক্ত সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
২. স্টিফেন বিব্রস্কি:স্টিফেন বিব্রস্কিকে ডাকা হতো ‘সিংহমুখী মানব’ বলে। তার মুখের গঠনই এমন ছিলো। অতিরিক্ত লোমের কারনে তার মুখের আকৃতি অনেকটা সিংহের মতই হয়ে গিয়েছিলো। স্টিফেন ১৮৯০ সালে জার্মানির অয়ারসও শহরে জন্মগ্রহন করেন। শুধুমাত্র হাতের এবং পায়ের তালু বাদে তাঁর পুরা শরীর লোমে ঢাকা ছিলো। তার মাথার চুল লম্বায় ছিলো ১০ ইঞ্চি এবং মুখের চুল লম্বায় ৮ইঞ্চি ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। স্টিফেন খুবই বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। তিনি প্রায় ৫টিরও বেশি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। ১৯২০ সালে মারা যান স্টিফেন।
৩. পৃথ্বিরাজ পাতিল:পৃথ্বিরাজের জন্ম ইন্ডিয়ার মুম্বাইয়ে। জন্ম থেকেই সে‘Werewolf Syndrome’ নামক রোগে আক্রান্ত । যার ফলে তার সারা শরীর বিশেষ করে তার মুখমন্ডল ঘন লোমে আবৃত হয়ে যাচ্ছিলো। তার বাবা-মা তার অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আয়ুর্বেদিক, লেজার ট্রিটমেন্ট, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার স্মরণাপন্ন হয়েছে বহুবার কিন্তু লাভ হয় নি কিছুই।
৪. সুপাত্রা সাসুপান:মাত্র ১৩ বছর বয়সী সুপাত্রার জন্ম থাইল্যান্ডে। মেয়েটিকে তার স্কুলের বন্ধুরা খেপায় ‘বানর মুখো’ নামে । একে তো নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাচ্চা মেয়েটি সারাক্ষন হীনমন্যতায় ভোগে তার উপরে বন্ধুরাই তাকে খেপায়। সে জন্য মেয়েটি স্কুলে যাওয়াটাই বন্ধ করে দেয় এক সময়। কিন্তু তার এই অদ্ভুত রগের কারণেই এক সময় তার নাম উঠে যায় গিনেজ রেকর্ড বুকে। তারপর থেকে সে বেশ বিখ্যাতই হয়ে যায় তার বন্ধুদের মাঝে। এখন আর সুপাত্রার তেমন কোন আফসোস নাকি হয়ই না ।
৫. জুলিয়া প্যাস্ট্রানা:জুলিয়া প্যাস্ট্রানার জন্ম ১৮৩৪ সালে মেক্সিকোতে। উপরের চার জনের মত তার শরীরও ঘন পশমাবৃত ছিলো। তবে তার শারীরিক গঠনে আরো বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য ছিলো। তার কান ও নাক স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ বড় ছিলো। তার দাঁতের গঠনও ছিলো অস্বাভাবিক। তবে এত সবের পরেও সে বেশ পরিচিতি পেয়াছিল ভালো ড্যান্সার হিসেবে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।