নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত
তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ শেষে আবারও নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষজন। গত তিন দিনের প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে নীলফামারী।
তিন দিন সূর্যের দেখা পায়নি এ জেলার মানুষ। বরফ শীতল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। সন্ধ্যার পর থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। কাজ না থাকায় নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
এদিকে, অসহায় হয়ে পড়েছে ঝুপরি ঘরে বসবাসকারী পরিবারগুলো। শীতে তাদের দুর্দশা চরমে উঠেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্টভোগ করছে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।
ডোমার বড়রাউতা গ্রামের ইদ্রিস আলী (৪৫) জানান, শীতের কারণে তার বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। ‘মাঘ মাসটা গেইলে হামরা বাঁচি। এংকরি আর থাকা না যায়।’
শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবসহ সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন প্রতিদিন। শীতের কারণে বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগবালাই। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা হাসপাতালে আসছেন।
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হাসানুর রহমান জানান, শীতজনিত রোগে বেশী ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। মানবাধিকারকর্মী মো. আব্দুল্লাহ ইবনে খালিদ জানান, সরকারিভাবে যে সব গরম কাপড় দেওয়া হয় তা চাহিদার তুলনায় খুব কম। তিনি আরও জানান, শীতার্ত মানুষের কল্যাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নীলফামারী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার আব্দুল মোত্তালেব মোল্লা জানান, সরকারিভাবে জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৬৫ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ে। তবে বিভিন্ন সংগঠন জেলায় শীর্তাত মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।