ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার মান্দারতলা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মোশাররফ হোসেন তার স্ত্রীকে ধর্ষণের দায়ে হরিনাকুণ্ডু পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল ১১ টার সময় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। লিখিত অভিযোগে, মোশাররফ হোসেন উল্লেখ করেন ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য হরিনাকুণ্ডু থানার ওসি এরশাদুল কবির আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এ জন্য তিনি আসামিকে গ্রেপ্তার করছেন না। আসামি সাইফুল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবাবে বলা হয়, ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্য ওসি ধর্ষিতাকে দুই দিন থানায় আটকে রেখে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে গত ১৮ই জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে হরিনাকুণ্ডু পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৫ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মান্দারতলা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে সাইফুল মন্ডল (৪০) মোশাররফ হোসেনের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে সম্ভ্রম হানি করে।

এ ব্যাপারে ১৯ জানুয়ারি হরিনাকুণ্ডু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলার পরও ধর্ষক সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বরং হরিনাকুণ্ডু থানার ওসি ধর্ষকের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফাল্গুনি সাহা আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্ষিতার প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট সঠিক দেয়নি।

এদিকে মামলা করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে মোশাররফ হোসেন ঘর ছাড়া হয়েছেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ এবং তার বৃদ্ধ মা ও ভাগিনাকে অন্যায়ভাবে মারপিট করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ধর্ষক সাইফুলের গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে হরিনাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবীর তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।