অতি পরিচিত ওষুধে স্মৃতি নাশ
অনিদ্রা ও জ্বরের মতো সাধারণ সমস্যার কারণে সে সব ওষুধ অহরহ সেবন করা হয়, সেগুলো হতে পারে স্মৃতিভ্রংশের কারণ। সম্প্রতি একটি গবেষণা এমনটাই জানাচ্ছে। সেখানে বলা হয়- ওই ধরনের ওষুধে ‘এ্যান্টিকোলিনার্জিক’ প্রতিক্রিয়া ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের জামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গবেষণা পত্রে বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডের ওষুধের কথা বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে ‘এ্যান্টিকোলিনার্জিক’ ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকা ওষুধ বয়সকালে স্মৃতিভ্রংশের অন্যতম কারণ। এ ধরনের ওষুধ রোগীরা সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই গ্রহণ করে থাকেন। অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ঘুম ঘুম ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাবে সমস্যা এবং মুখ ও চোখ শুকিয়ে যাওয়া।
গবেষকরা এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষের স্মৃতিশক্তির দিকে নজর দিয়েছেন। তারা দেখেছেন যারা ৩ বছর বা এর বেশী সময় প্রতিদিন এ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করেন, তারা ঝুঁকির মধ্যে বেশী থাকেন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের এ্যালজাইমার সোসাইটির ডা. ডুগ ব্রাউন জানান, এ আশঙ্কা সম্পর্কে সচেতন করতে ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের উৎসাহিত করা হবে।
‘এ্যান্টিকোলিনার্জিক’ ধরনের ওষুধে গবেষকরা স্মৃতিনাশজনিত প্রতিক্রিয়া দেখেছেন। এগুলো এসিটাইকোলাইন নামের নিউরোট্রান্সমিটারকে ব্লক করে দেয়। যা মস্তিষ্কের সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অংশের যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ডা. শেলি গ্রে ও তার সহকর্মীরা এ গবেষণায় ৩ হাজার ৪৩৪ জন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যাবলী বিশ্লেষণ করেন। তাদের বয়স ৬৫ বা তার চেয়ে বেশী। শেলি বলেন, বয়স্কদের এ ধরনের ওষুধের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। এর মধ্যে অনেক ওষুধ আছে যা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়। যেমন ঘুমের ওষুধ। এতে ‘এ্যান্টিকোলিনার্জিক’ উপাদান বেশী পরিমাণে থাকে।
চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।