ঝালকাঠির রাজাপুরের বারবাকপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় কলেজ ছাত্র রুবেল নিহত হওয়ার ১ বছরেও কোন কুল কিনারা হয়নি। হত্যা মামলা আড়াল করতে মামলার ৫ নম্বর আসামী শাহ আলম বাদি হয়ে একটি লুট মামলা দায়ের করে। 

গতবছরের ২৭ জানুয়ারী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল ৯ প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে রুবেল গুরুতর আহত হয়। আহতাবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী শাহজালালের স্ত্রী মুক্তা বেগমকে আটক করে রাজাপুর থানা পুলিশ। ২৯ জানুয়ারী দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মৃত্যুবরণ করে। 

এঘটনায় নিহত রুবেলের পিতা আবুল বাশার মৃধা বাদি হয়ে রাজাপুর থানায় ৭ জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করে। আসামীরা হল শাহজালাল (২৫), স্ত্রী মুক্তা বেগম(২০), আহসান হাবিব আকসু(৫০), পুত্র রানা (২০) শাহ আলম মৃধা (৫০), জলিল মৃধা(৫০), কহিনুর বেগম(৪০)। 

রাজাপুর থানা পুলিশ ১ ও ২ নং আসামীদের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে এজাহার দেয়ার জন্য বলে। অপরদিকে রাজাপুর থানা পুলিশের আসামীদের নাম নিয়ে গড়ি মসির একপর্যায়ে মামলা গ্রহণ করা হয়।

থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফ ১ নম্বর আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। দীর্ঘ দিন কারাবাসের পর আটককৃত মুক্তা চার্জশীট থেকে বাদ যাওয়ায় কারাগার থেকে মুক্ত হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আদালতে দেয়া চার্জশীটের বিপরীতে নারাজি আবেদন করে বাদিপক্ষ। নারাজি আবেদনের বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা চলমান অবস্থায় পুলিশ কোন আসামীকে খুজে না পাওয়ায় গ্রেফতার করতে পারে নি। মামলার ১ নং আসামী প্রধান হত্যাকারী শাহজালালের পিতা ৫ নং আসামী মোঃ শাহ আলম বাদি হয়ে নিহত রুবেলের চাচা শুক্কুর মৃধা, মনির হোসেন টুলু মৃধা, এমাদুল হোসেন লাভু মৃধা, চাচাতো ভাই পায়েল মৃধা, চাচী মাহমুদা বেগম, পারুল বেগমকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-এমপি ১৭৮/১৪) দায়ের করে। মামলায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৩শ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ করা হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, হত্যা মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় রাজাপুর থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে আসামীদের আত্মীয়রা মালামাল ক্ষতিগ্রস্তের আশংকা করলে আত্মীয়দের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেয় হয়। শোকাতুর বাদি পক্ষ কিভাবে মামলামাল লুট করবে। তারা লুট মামলা প্রত্যাহার ও চলমান হত্যা মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।