১ ফেব্রুয়ারিই মুক্তি পাচ্ছে বিতর্কিত কসমিক সেক্স (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ইন্টারনেটে মুক্তি পাচ্ছে ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিতর্কিত বাংলা ছবি ‘কসমিক সেক্স’। প্রথাগতভাবে কোনো সিনেমা হলে কসমিক সেক্স মুক্তি পাচ্ছে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ওই দিন বিশ্ববাসী দেখতে পারবে এ ছবিটি।
ছবির কাহিনীতে দেখানো হয়েছে তন্ত্র-মন্ত্র ও যৌনতার মাধ্যমে মোক্ষলাভ সম্ভব। যৌনতা সম্পর্কে সাধারণের ধারণার বিস্তৃতিকরণ, পূর্বরাগ ও মিলনের প্রতিটি স্তর পেরিয়ে দেহজ অনুভূতির শীর্ষে পৌঁছানো এবং শরীরের অন্ধিসন্ধি মন্থন করে সৌন্দর্য, সুখ ও শান্তির অপার সমুদ্রে অবগাহনের জটিল কিন্তু অবধারিত পথে হেঁটেছেন পরিচালক। এর মাধ্যমে জীবন সাধনার পরম প্রাপ্তি সম্ভব। এমনকি ঈশ্বরের দেখাও মিলবে এমনটাই তুলে ধরেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী।
দেহতত্ত্বের এই গূঢ় আঙ্গিককে কিছুটা তরলায়িত করেই ‘কসমিক সেক্স’ ছবির কাহিনী সাজিয়েছেন চিত্রনাট্যকার। মুখ্য তিন চরিত্র কৃপা, দেবী ও জোনাকির পায়ে পায়ে রূপ পেয়েছে তার প্রতিটি গতি, বাঁক, চোরাস্রোত।
ছবির নির্দেশক অমিতাভ চক্রবর্তীর কথায়, ‘এই ছবিতে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছতে যৌনতার ব্যবহারের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছি। যদি কারো যৌন শক্তির ধারা লক্ষ্য করা যায়, তা হলে তা শুরু হবে আকর্ষণ দিয়ে। তারপর পর্যায়ক্রমে আসবে বিভিন্ন স্তর— জন্ম, জীবন, সন্তানের বিবাহ, বার্ধক্য ও মৃত্যু। যৌনশক্তির প্রবাহের নিরন্তর প্রদর্শনী চলেছে...’ পরিচালক আরও বলেন, 'আমার ছবিতে দেখানো হয়েছে কীভাবে যৌনতার হাত ধরে যুবক কৃপার স্থূল জীবন থেকে সর্বোচ্চ স্তরে উত্তরণ ঘটে।'
বাংলার ফকিরদের ওপর তৈরি তথ্যচিত্র ‘বিশার ব্লুজ’ এর আগে পরিচালক হিসেবে অমিতাভ চক্রবর্তীকে বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। বস্তুত প্রান্তিক মানুষের পরম্পরায় গচ্ছিত দেহতত্ত্বের ভিত্তিতেই সৃষ্টি হয়েছে ‘কসমিক সেক্স’।
‘গান্ডু’র পর এই ছবিতে আবার সাড়া জাগানো ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋক। ছবির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে আয়ুষ্মান মিত্র, মুরারী মুখোপাধ্যায়, পাপিয়া ঘোষাল এবং ঋক। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। প্রযোজক পুতুল মাহমুদ। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী ও লিয়াকত আলী। মুক্তি পাওয়ার আগেই অবশ্য ছবি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক।
কাহিনী সংক্ষেপ
এক রাতে আঠার বছর বয়সী কৃপার সাথে তার বাবার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কারণ ছিলো তার বিমাতাকে নিয়ে। সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে এবং তাঁর বাবা মারা যায়; কৃপা তার বাবাকে হত্যা করে। এরপর ভয়ে সে বাড়ি থেকে দূরে পালাতে চেষ্টা করে।
সে রাতে রাস্তায় বিভিন্ন বিপরীতমুখী চরিত্রের সন্ধান পায় কৃপা। একপর্যায়ে তার পরিচয় ঘটে দেবী নামের একজন রাস্তার পথিকের সাথে। জোনাকি নামে দেবীর একজন হিজড়া দালাল ছিলো। এরপর কৃপা দেবীর প্রতি প্রেম, যৌনতা এবং ঈর্ষার ফাঁদে পড়ে। সে আবার খুন করে। জোনাকি মারা যায়। কৃপা অঅবার পালিয়ে বেড়াতে থাকে।
এক ভোর কৃপা গঙ্গার তীরে বসে ছিলো। এ সময়ে জল থেকে একজন নারীর উত্থান ঘটে। কৃপা ধেখতে পায় তার মৃত মা জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছে! তাই সে তার মাকে অনুসরণ করে। তিনি কৃপাকে তার ঘরে নিয়ে আসেন এবং পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন। একটি নতুন জীবন এবং অন্যরকম জন্ম দেন। তিনি কৃপাকে তার যৌন শক্তি ব্যবহার করে নিজের মধ্যে চিন্তায় ভ্রমণ করতে শেখান।
সূত্র : উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ, এই সময়, ইন্ডিয়ান টাইমস।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।