আ. লীগ সন্ত্রাসের পাঠশালা: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার পদত্যাগ করলেই দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
ওই বিবৃতিতে রিজভী বলেন 'রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসের পাঠশালা। গুণ্ডামি হচ্ছে এদের শাসনপ্রণালী। সন্ত্রাসীরা যেমন আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সবকিছু দখল করে নিতে চায়, তেমনি আওয়ামী লীগও তাদের আগ্রাসী ক্ষুধায় বহুদলীয় গণতন্ত্রসহ জাতীয় জীবনের সকল অর্জন উচ্ছেদ করে গোটা দেশটাকেই তাদের জমিদারী বানাতে চায়। যতদিন এরা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনজীবনে নিরাপত্তা, শান্তি, স্বস্তি থাকবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না। মানুষের সহায় সম্পত্তি জীবন পদে পদে বিপন্ন হবে।'
১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর ভাগ্যের কথা বলে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক, অতিরিক্ত কৃতকার্য দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে জাতিকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলার উপক্রম করেছে এই অবৈধ সরকার। তারা আবার পরীক্ষার্থীদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলে।'
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে রিজভী বলেন, 'শতকরা ৫ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী মহাজোট অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে আছে। ১৬ কোটি জনগণের ভাগ্যের কথা ভেবে ভোটারবিহীন সরকার পদত্যাগ করলেই তো দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।' 'এখন গণতন্ত্রের ভাগ্য চরম দুর্যোগের মুখে, মানুষের মানবিক মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত, সার্বভৌম ক্ষমতাকে আত্মসাৎ করে জনগণকেই করা হয়েছে অপমানিত। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষমতাসীনদের অধীন করা হয়েছে। একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাকশাল পদ্ধতি আবার অবিকলভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সুতরাং দুঃশাসনের অবসানের মধ্য দিয়েই কেবলমাত্র বর্তমান অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর মুক্তি সম্ভব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতি সম্ভব।'
রিজভী বলেন, 'ক্ষমতার নেশায় প্রধানমন্ত্রী মনে হয় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন'। 'শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি আইন, মানবতা, জনমত, শিষ্টাচার, দেশের বিশিষ্টজনদের পরামর্শ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ কোনো কিছুই পরোয়া করছেন না। প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীরা অনর্গল শুধু 'দমন করো' 'বিচার হবে' এই বুলিগুলোই আওড়ে যাচ্ছেন। আর এই ধরো-মারোর ঘোষণায় দেশকে পরিণত করা হয়েছে রক্তাক্ত প্রান্তরে। বন্দুকযুদ্ধের অভিনব গল্প বানিয়ে নয়, এখন প্রকাশ্যেই বলে-কয়েই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। ক্রস ফায়ারে শুধু সাধারণ স্তরের নেতা-কর্মীরাই নয়, এখন ব্যবসায়ী ও কলেজের অধ্যাপক, যারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারা পর্যন্ত খুন হচ্ছেন।'
রিজভী বলেন, 'কঠিন কঠোর ব্রত নিয়ে পথে পথে গড়ে ওঠা শান্তিপূর্ণ অবরোধ অব্যাহত রাখতে হবে। এই অবরোধ দেশে শান্তির জন্য, নিরাপত্তার জন্য, মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কোনো চোখ রাঙ্গানী, হুমকি আর যৌথবাহিনীর টার্গেট প্র্যাকটিস আন্দোলনকারীদের অদম্য পথ চলাকে থমকে দিতে পারবে না।'
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।