চুম্বন সকলেই করে থাকেন। প্রেমিক-প্রেমিকা বা সঙ্গীনীর সাথে কাটানো প্রিয় মুহূর্ত মধুময় হয়ে ওঠে চুম্বনে। প্রেমিক-প্রেমিকাকে কাছাকাছি আনতে, তাদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে বা সম্পর্কে উষ্ণতা আনতে চুম্বনের ভূমিকা কম নয়৷ তবে শুধু ভালোবাসাবাসির জন্য নয় চুম্বনের রয়েছে বিভিন্ন উপলক্ষ। যেমন শুভ সকালের, শুভ রাতের ও শুভেচ্ছার চুম্বন৷

চুম্বনের মাধ্যমে আপনি আপনার সঙ্গীর মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিতে পারেন। চুম্বন করার কিছু রীতি রয়েছে আর সেইসব মেনে কাউকে চুম্বন করলে তা স্মৃতিতে সবসময় স্থায়ী হয়ে থাকবে৷

প্রত্যেকেরই চুম্বন করার আলাদা আলাদা ধরণ থাকে৷ তবে তা একদিনে হয় না৷আস্তে আস্তে তৈরি হয় এই নিজস্ব ধরণ৷

চুম্বনের সময় নিজেকে যথাসম্ভব আরামপ্রদ রাখুন৷ এসময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া যায় না৷ তাই নাক দিয়ে খুব ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। সবচেয়ে ভালো হয় খানিকক্ষণ শ্বাস বন্ধ রাখতে পারলে৷ তবে নাক দিয়ে এত জোরে শ্বাস নেবেন না যাতে সঙ্গীর মুখে গরম লাগে৷দীর্ঘ চুম্বনের সময় একে অপরকে মাঝেমধ্যে শ্বাস নেয়ার জন্য সুযোগ দিন৷

চুম্বন করার সময় অন্য কোনও ব্যাপারে ভাববেন না৷ সেই মাহেন্দ্রক্ষণে বসের বকুনি, পেন্ডিং থাকা কাজ, অফিসের অ্যাপ্রাইজাল সব ভুলে গিয়ে শুধু দুজন দুজনের মধ্যে বিভোর হয়ে মেতে উঠুন৷ অতিরিক্ত উত্তেজনা বা দুর্বলতায় ঠোঁট স্টিফ হয়ে থাকলে বা বেশি চোখ পিটপিট করলে বা ঠোঁট নড়লে পুরো চুম্বনটাই পানসে হয়ে যাবে৷

চুম্বনের সময় সঙ্গীর ঘাড়ের পিছনের দুটো দিক বা হাল্কা করে যে কোনও একদিকে ধরে কিস করতে পারেন৷ তবে গাল বা ঘাড় যা-ই ধরুন, তা যেন খুব শক্ত না হয়৷ আর সঙ্গীটি যদি মহিলা হন তাহলে চুম্বন করুন কানের নীচের সংবেদনশীল অংশটিতে৷ 

চুম্বন করার আরও একটি অভিনব পদ্ধতি হল- গলা থেকে চুম্বন করতে করতে উপরের দিকে উঠে আপনার সঙ্গীনীর কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে কোনও ভালোবাসার কথা বলা।